যুগধারা ডেস্ক :
রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান নেতৃত্বকে ‘ক্ষমতাচ্যুত’ করার হুমকি দিয়েছেন ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন। তিনি জানিয়েছেন, এর জন্য শেষ পর্যন্ত যাবেন এবং যদি কেউ পথে বাধা দেয় তাহলে তাদের ধ্বংস করে দেবেন। খবর এএফপি।
শনিবার (২৪ জুন) অডিওবার্তায় ওয়াগনার প্রধান বলেন, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং আমরা শেষ পর্যন্ত যাবো। আমাদের পথে যা কিছু দাঁড়াবে, আমরা তা ধ্বংস করব।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ওয়াগনার বাহিনী দক্ষিণ রাশিয়ার রোস্তভ অঞ্চলে প্রবেশ করেছে বলে দাবি করলেও এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দেননি ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।
এক প্রতিবেদনে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরআইএ নভোস্তির জানিয়েছে, রোস্তভ অঞ্চলের রাস্তা শান্ত রয়েছে। কিন্তু পুশকিনস্কায়া রাস্তায় ট্রাফিক অবরোধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে অবরোধের কারণ সম্পর্কে ওই প্রতিবেদনে কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
এ দিকে শনিবার টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে বাসিন্দাদের শান্ত থাকতে বলেছেন রোস্তভ অঞ্চলের গভর্নর ভ্যাসিলি গোলুবেভ। একই সঙ্গে দরকার ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করেছেন তিনি। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য যাবতীয় সব কিছুই করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও ওয়াগনার বাহিনী এই অঞ্চলটিতে প্রবেশ করেছে বলে প্রিগোজিনের দেওয়া ঘোষণার পরপরই গভর্নরের পক্ষ থেকে এই সতর্কতা এলো।
মস্কোর স্থানীয় সাংবাদিক ভ্যাসিলি পোলোনস্কি সিএনএনকে বলেন, মস্কোর পরিস্থিতি শান্ত আছে। সরকারি ভবনগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবেই শহরে চলাচল ও পার্টি করছে। তবে রাস্তায় প্রিগোজিনের বাহিনী নিয়ে সাধারণ মানুষকে আলাপ করতে দেখেছেন স্থানীয় এই সাংবাদিক। এছাড়া সেন্ট্রাল মস্কোতে সামরিক সরঞ্জামের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভবন ঘিরে সামরিক বাহিনীর তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস ধরেই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছে প্রিগোজিনের। শুক্রবার (২৩ জুন) তিনি রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ওয়াগনার সেনাদের ওপর মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছেন এবং প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার দাবি- ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তার অনেক সৈন্য মারা গেছে।
এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে মস্কোর সামরিক নেতৃত্বকে শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ওয়াগনার প্রধান। তার অভিযোগ- বাখমুতের যুদ্ধে ঠিকঠাক অস্ত্র সরবরাহ করা হয়নি। এছাড়া ওয়াগনার বাহিনীর সদস্যরা যাতে পিছু হটতে না পারে সেজন্য মাইন পুতে রেখেছিল মস্কোর সামরিক বাহিনী।