টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ৪নং লোকের পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান সৈ¦রাচার আওয়ামী লীগের দোষর শহিদুল হক মিলনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্নীতি ও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ২কোটি টাকা লুটতরাজের অভিযোগ উঠেছে। কাজ না করেই তুলে নিয়েছে অধিকাংশ প্রকল্পের টাকা। তার এ সব অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে ইউনিয়ন বাসী। সারা ইউনিয়নে আলোচনা হচ্ছে মিলন চেয়ারম্যানের দূর্নীতির কথা। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন বাসীর পক্ষ থেকে দূর্নীতি দমন কমিশন সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ পড়েছে মিলন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বৎসরে উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের দুইটি প্রকল্প গ্রহন করেন এলজিইডি। প্রকল্প দুইটি হচ্ছে, লোকের পাড়া সানোয়ার ভূঁইঞার বাড়ী হতে রাসেল খানের বাড়ী ও লোকের পাড়া সূত্রধর বাড়ী হতে মধ্যলোকের পাড়া ঈদ গাঁ মাঠ পর্যন্ত। সিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণে প্রকল্প দুইটি ব্যায় ধরা হয় ১২ লক্ষ ১৮ হাজার ২শত টাকা। কার্যদেশ পাওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে নির্ধারিত মাপ ও মান অনুযায়ী কাজ হয়নি বলে এলাকা বাসীর অভিযোগ। দৈর্ঘ্য ঠিক থাকলেও প্রস্থ ও উচ্চতায় অর্ধেক কাজও হয়নি। কোথাও আবার কোদাল দিয়ে মাটি টেনে সমান করে সামান্য ঢালাই দেয়া হয়েছে। এর বেশী তেমন কাজ করতে হয়নি। যে উচ্চতার কথা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বলা হয়েছে, বাস্তবে গিয়ে তার কোন প্রমান পাওয়া যায়নি। মূলত প্রকল্প দুইটিতে, অর্ধেক কাজও হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলীকে হাত করে নাম মাত্র কাজ করে ভাগ বাটোয়ারা করে খায় লোকেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক মিলন।
এদিকে ২০১৬ হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত লোকের পাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান শহিদুল হক মিলন সরকারি তহবিলে বরাদ্দকৃত বিভিন্ন প্রকল্প ও ট্রাক্সের টাকা লুটপাটের চিত্র তুলে ধরে ৪ বিএনপি নেতা জেলা প্রশাসক ও দূর্নীতি দমন কমিশন সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। এতে তারা উল্লেখ্য করেন আনুমনিক ২কোটি টাকা লুট করেছে মিলন চেয়ারম্যান। পরিষেদের মিটিং এ এজেন্ডাভুক্ত না করে একক ভাবে এসব অর্থ লুট করেছেন তিনি। অনিয়ম দূর্ণীতি ও লুটের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে ইউনিয়ন বাসী। বিক্ষুদ্ধ জনতা অর্থ লুটের বিচারের দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শাস্তির দাবিতে পোষ্টার ও লিফলেট ছাপানোর কাজ চলছে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে।
অভিযোগকারী বিএনপির ৪ নেতার মধ্যে একজন বীর মুক্তি যোদ্ধা জয়নাল আবেদীন তালুকদার বলেন, আওয়ামী দোষর শহিদুল হক মিলন চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহণের পর হতে নানা অনিয়ম দূর্নীতির সাথে জড়িত রয়েছে। বিগত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিরোধে অর্থ যোগান দাতা এ কুলাঙ্গারের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি।
অর্থলুটের বিষয়ে লোকেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক মিলনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের সকল নিয়ম মেনে আমি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। প্রকল্পের নামে অর্থ লুটের প্রশ্নই ওঠেনা। আমার বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ করে থাকলে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
রশিদ