যুগধারা ডেস্ক :
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, অনির্বাচিত সরকারের সুযোগ নেই, সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন কমিশন নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে।বুধবার (১৭ মে) পাবনায় এক সুধী সমাবেশে এমন মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি।
পাবনা ডায়াবেটিক সমিতি পরিদর্শন শেষে এই সুধী সমাবেশে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকারের বিধান আদালত বাতিল করেছে।’
রাজনীতির নামে হানাহানি না করে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে আসতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, সেখানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী সকল অপশক্তিকে প্রতিহত করবেন এবং তাদেরকে মাথা উঁচু করার কোন সুযোগ দিবেন না।’
গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গণতন্ত্র যাতে তমসাচ্ছন্ন না হয়; কোন অশুভ শক্তি যেন এখানে ভর করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে আশা-ভরসা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, তাহলেই, এই দেশ বিনির্মাণে আর কোন প্রতিবন্ধকতা থাকবে না।
এক সময় বাংলাদেশে অনির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন হয়েছিল উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘বর্তমানে অনির্বাচিত সরকারের অধীনে কোন রকম নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই। দেশে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।’
রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনের পথে চলে আসার অনুরোধ জানান।
তিনি সহিংসতার পথ পরিহার করে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনের পথে ফিরে আসতে বিবাদমান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, পাবনা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলাম।বক্তব্য দেন, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, পাবনা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, ডা. মনোয়ারুল আজিজ প্রমুখ।
বক্তারা রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে পাবনা ডায়াবেটিক হাসপাতালের উন্নয়নে তার অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ রোডে অবস্থিত ডায়াবেটিক সমিতিতে প্রবেশ করেন রাষ্ট্রপতি। এ সময় তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা। রাষ্ট্রপতি সমিতি প্রাঙ্গণ ঘুরে ঘুরে দেখেন।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী অবস্থানের পর বেলা ২টার দিকে সমিতি থেকে বের হয়ে সার্কিট হাউসে বিশ্রামে যান তিনি।
সোমবার (১৫ মে) সকাল ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে নিজ জেলা পাবনায় এসে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।এরপর পাবনা সার্কিট হাউসে উপস্থিত হয়ে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন তিনি।সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর তিনি জেলা পরিষদ বঙ্গবন্ধু চত্বরের নামফলক উদ্বোধন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।গত কয়েক দিনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি।