নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বী ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে অপহরণ করে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আসামি মাদরাসা শিক্ষক আবু সামাকে (৩৫) দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে মানববন্ধন করেছে উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদসহ সচেতন নাগরিক সমাজ। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় উপজেলা পেভৗর শহরের ভূঞাপুর থানা মোড় চত্বরে প্রায় ঘণ্টাব্যাপি এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববঃ৫বন্ধঃৎ৪ে২৩৭ন বক্তারা বলেন, সনাতন ধর্মের স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনার কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামি আবু সামাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে আপোস-মিমাংসার জন্য উঠে-পড়ে লাগে। কিন্তু আমরা হিন্দু সমাজ যদি এমন ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার না পাই তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করব। একইসাথে কয়েক দিন পরেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দূর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে। তা পালন করা থেকেও বিরত থাকব।
মানববন্ধনে কয়েক দফা দাবি জানিয়ে তারা আরও বলেন, মিমাংসার জন্য যারা পায়তারা করছে তাদের আসামি করতে হবে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত প্রধান আসামি আবু সামাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে, ভুক্তভোগী ওই পরিবারকে নিরাত্তার দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, পাশাপাশি দূর্গাপূঁজা উৎসবকে কেন্দ্র করে যাতে কোন ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে প্রতিটা পূঁজাম-বে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।
এসময় উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি স্মরণ দত্ত, সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ, উপজেলা সুশাসনের জন্য নাগরিকের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্ত, উপজেলা শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব অভিজিৎ ঘোষসহ অন্যান্যরা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া সনাতন ধর্মের লোকজন বিভিন্ন প্রতিবাদ লেখাযুক্ত ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার ধুবলিয়া এলাকায় খালেক নুরানী মাদরাসার শিক্ষক এবং একই গ্রামের মৃত আরজু মিয়ার ছেলের বিরুদ্ধে সনাতন ধর্মাবলম্বী এক স্কুলছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণের পর নির্যাতন ও ধর্ষণ অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর রাতে ভূঞাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে বাবা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৯ সেপ্টেম্বর সকালে আবু সামার বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক ওরফে মোতালেবকে আটক করে পুলিশ। শনিবার ১০ সেপ্টেম্বর সকালে অভিযুক্তের পরিবার স্কুলছাত্রীটিকে থানায় নিয়ে আসে। পরে মেয়েটিকে শারিরীক পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে টাঙ্গাইল বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দির জন্য পাঠায়। একইসাথে নথিভুক্ত করে প্রধান অভিযুক্তের বড় ভাই ও সহযোগী মোতালেবকে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।