টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে রাস্তার পাশে দেয়াল নির্মাণ করে রাস্তা পাকা ও প্রশস্তকরণ কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। যার কারণে রাস্তার কাজ ফেলে রেখেছেন ঠিকারদকার প্রতিষ্ঠান। ফলে রাস্তাটি প্রশস্ত ও পাকাকরণ না হওয়ায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তি শিকার হচ্ছেন চলাচলকারী স্থানীয় লোকজন ও স্কুলে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের বাংলাবাজার ও ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের মাদারিয়া রাস্তা নামে পরিচিত গোপালপুরের বানিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের প্রায় ২০০ মিটার সরকারি রাস্তার পাশে জনৈক আশরাফ আলী নামে এক ব্যক্তি অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে তার বাড়ির সীমানা দেয়াল নির্মাণ করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি বিভিন্ন ধরণের গাছও লাগিয়েছেন।
সম্প্রতি বাংলাবাজার ও মাদারিয়া এই রাস্তাটি অবহেলিত থাকার পর স্থানীয় প্রকৌশলী অধিদপ্তর রাস্তাটি প্রশস্ত ও পাকাকরণের উদ্যোগ নেন। পরে রাস্তাটির কাজও চলমান রয়েছে। কিন্তু বানিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশের ওই ব্যক্তি সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে দেয়াল নির্মাণ করায় নির্মাণকরণ কাজে বিঘ্ন ঘটছে।
এনিয়ে গত ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর ওই রাস্তাটি সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. পারভেজ মল্লিক ও সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসিয়া সিরাতের নির্দেশনায় সহকারী কমিশনার থেকে একাধিবার (পরিমাপ) করেন সার্ভেয়ার মো. মোনারুল ইসলাম। এতে তিনি প্রতিবেদনও দাখিল করেন।
সেখানে বলা হয়- বানিপাড়া মৌজার এস.এ ০১নং খতিয়ানভুক্ত ১৩৫ নং দাগের ওই রাস্তাটি শিমলাপাড়া মৌজার এস.এ ১৬৩৭ দাগের আশরাফ আলীর বাড়ি সংলগ্ন বর্ণিত রাস্তার ০.৯৩ একর (স্কেস্কেচম্যাপে চিহ্নিত) দেয়াল নির্মাণ করে অবৈধভাবে ভোগ দখল করে আসছেন আশরাফ আলী।
স্থানীয়রা জানান, মাদারিয়া-বানিপাড়া রাস্তাটি দীর্ঘদিন চলাচলে অনুপযোগী ছিল। সম্প্রতি রাস্তা পাকা ও প্রশস্তকরণ উদ্যোগ নেন উপজেলা প্রকৌশলী অধিপ্তর। কিন্তু বানিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন উত্তর পাশে দেড়-২’শ মিটার রাস্তার কিছু অংশের সরকারি জায়গা অবৈধভাবে ভোগ দখল করে আসছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি রাস্তার জায়গা ছেড়ে না দেওয়ায় ঠিকাদার এ অংশে কাজ করতে পারছেন না।
এদিকে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী বাদশা মিয়াকে একাধিবার মোবাইল কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সরকারি জায়গা অবৈধভাবে ভোগ দখলের অভিযোগের বিষয়ে আশরাফ আলীকেও একাধিবার মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, বিষয়টি জানলাম। রাস্তাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।