যুগধারা ডেস্ক :
মজুরি বাড়ানো নিয়ে মুখোমুখি চট্টগ্রামের নৌ-পরিবহন মালিক ও শ্রমিক পক্ষ। শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে ৬০ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় শ্রম মন্ত্রণালয়। তবে মন্দার অজুহাতে মজুরি বাড়াবে না মালিকপক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে তারা ১৮ মার্চ থেকে নৌযান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
মজুরি বাড়ানো নিয়ে নৌ পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বৈঠক হয় গত ২২ ফেব্রুয়ারি। বৈঠকে ২০১৬ সালের পে স্কেল অনুযায়ী মজুরি ৬০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় শ্রম মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, মজুরির বাইরে ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, খাবার বাবদ ১৫শ এবং চিকিৎসা বাবদ আরও ১ হাজার টাকা ভাতা পান শ্রমিকরা। এ ছাড়া মাস্টার ড্রাইভাররা এনডোর্সমেন্ট ও ইনচার্জ ভাতা পান আরও সাড়ে ৪ হাজার টাকা। নতুন কাঠামোয় অন্যান্য ভাতা অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে চিকিৎসা ভাতা।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মানছেন না জাহাজ মালিকরা। ধর্মঘটের ডাক দিয়ে তাদের দাবি, বিশ্বমন্দায় মজুরি বাড়লে শিল্পকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে। তাদের এমন দাবির সাথে একমত নয় শ্রমিকরা।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম তালুকদার বলেছেন, রমজান ও ঈদকে ঘিরে ধর্মঘটে বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। ১৮ মার্চ থেকে ডাকা ধর্মঘটে লাইটার ও অয়েল ট্যাংকারের পাশাপাশি যাত্রীবাহী নৌযান বন্ধ রাখারও ঘোষণা এসেছে।
যুগধারা ডট টিভি/অন্তু