মোঃ তুহিন মিয়া, টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইল জেলার মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এ কবার বলেছিলেন যে, “ভারত আমাদের শত্রু, এই কথাটা যেই প্রজন্ম বুঝতে পারবে তাঁরাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।” বর্তমানের আমাদের চৌকস সন্তানেরা তা বুঝতে সক্ষম হয়েছে! তবে তাঁদেরকেই ধরে নেয়া যায় এরাই শ্রেষ্ট সন্তান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩বছর চলমান আমরা কি সত্যিই স্বাধীন হতে পেরেছিলাম, না কি স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছিলাম?
কোন বৃক্ষ রোপন করলে নির্দিষ্ট ফল পাওয়া যায়! ১৯৭১ সালের যে স্বাধীনতা নামের যে বৃক্ষ আমাদের পূর্ব পুরুষেরা রোপন করেছিল তাঁর কি ধরনের ফল আমরা ৫ আগষ্ট ২০২৪ সাল পর্যন্ত পেয়েছি, সকলেই তা জানেন!
আমাদের প্রতিবেশী হিন্দুস্তান (ভারত) আমাদের দেশ ও জাতীর শত্রু স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার জায়গা হয়! তাঁরা আমাদের দেশ ও জাতীর জন্য কতটা শত্রু? প্রতিবেশী দেশ নিয়ে বসবাস করি তা সত্যিই অত্যান্ত ভাববার বিষয় অন্তবর্তীকালিন সরকারের! পৃথিবীর কোথাও যে স্বেরাচারীর হাসিনার জায়গা হয় না, অথচ আমার প্রতিবেশী দেশে ভারত নিরাপত্তা সহ জায়গা করে দেয়! এতো কিছু দেখা বা বোঝার পরও, ভারত (হিন্দুস্তান) যে, বাংলাদেশে প্রকাশে শত্রু, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ভারতের অদৃশ্য একটি হাত বাংলাদেশের কল্যানের পথে সব সময় বাঁধা গ্রস্থ করে তাদের পায়ের তলায় নিতে ব্যাস্ত সব সময়! ওপেন সিক্রেট ভাবে তাই তাদের মদদে বাংলাদেশের শ্বাসন ব্যাবস্থা কায়েমের ফলে নৈতিকতার বিবর্জিত পূর্বক ইসলাম ধর্মের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে! এবং বাংলাদেশের ব্যাপারে তাঁরা কারনে অকারনে আন্তজার্তিক আইন অমান্য করে অবৈধ্য ভাবে নাক গলানোর বা হস্তক্ষেপ চেষ্টা করে! তা আর হবে না বা হতে দেয়া যাবে না!
মনে রাখতে হবে ৫ আগষ্টের ২০২৪ পর থেকে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রনে যাঁরা আসবেন তাঁরা ভারতের (হিন্দুস্তান) গন্ডি থেকে ব্যবসায়-বানিজ্য সকল প্রকার বিষয়ে এর ক্ষেত্র চেঞ্জ করে জাপান, করিয়া, চীন-পাকিস্তান সহ বিশ্বের অন্য সকল দেশের সাথে সম্পর্ক বাড়াতে বাধ্য করবেন অবশ্যই! ইসলাম ধর্মে ইচ্ছে করে কোন ভিন্ন ধর্মের প্রতি আঘাত কোন মুসলিম করতে পারবেনা বলে কড়াকরি রয়েছে। তবে ভারত আমাদের বাংলাদেশের আমাদের মুসলিম ধর্মের মুসলিম জাতীকে সংখ্যা লঘু বানানোর অপ প্রয়াসে ব্যাস্ত সব সময়। সম্মিলিত দল মত নির্বিশেষে সজাগ থাকতে হবে বিবেক বান জাতীদের সব সময়ে!
বাংলাদেশে খ্রিষ্টা. ইহুদী, বৌদ্ধ অন্যান্য কোন ধর্মের লোকেদের জন্য কোন হুমকী নয়, তবে বাংলাদেশে সংখ্যায় একটি ধর্মের জাতী রয়েছেন তাঁরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভবে পাশ্ববর্তী কোন মদদে বিভিন্ন সময়ে ক্ষুদ্র বিষয়কে ইস্যু করে বিভিন্ন জাগরণে নামে সভা-সমাবেশের নাম করে বিশ্বেবাসীর কাছে বাংলাদেশে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্য সহ, তাদের তৈরী পরাজিত কিছু স্বৈরাচার গোষ্ঠীর প্রেত্মার জাগরণের উসকে দেয়ার বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছে মাঝে মধ্যে। বাংলাদেশ জনগণ সে ব্যাপারে সম্মিত ভাবে অবশ্যই সব সময় সজাগ আছেন।
বিভিন্ন সময়ে সামাজিক মাধ্যমে ও বিভিন্ন মিডিয়ায় আলোচ্য বিষয় সংবিধান সংশোধনের বিষয় বলা হয়েছে। তবে ভিন্ন ধর্মালম্বীদের ও পৃথিবী বাসীদের ব্যাপারে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) যে ভাবে অধিকার ও বানী প্রদান করেছেন তা অবশ্যই উত্তম। যাঁরা সংবিধান সংশোধন ও পরিমার্জন করবেন এই বিষয়ে অবশ্যই মনে রাখবেন!
কোরআন থেকে, যারা দীনের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদের তোমাদের ঘর-বাড়ি থেকে বহিষ্কার করেনি, তাদের সঙ্গে সদাচরণ করতে ও তাদের প্রতি ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন। আল্লাহ তো তোমাদের তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন, যারা দীনের ব্যাপারে তোমাদের সাথে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে তোমাদের ঘর-বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে এবং তোমাদেরকে বের করার কাজে একে অন্যের সহযোগিতা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে তারা জালিম। (সূরা: মুমতাহিনা ৮, ৯)।
হাদীসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো অমুসলিম নাগরিককে অন্যায় ভাবে হত্যা করল, সে জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না, অথচ তার সুগন্ধ ৪০ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেও পাওয়া যায়।’ (বুখারি, হাদিস : ২৯৯৫)।
হযরত সাহল ইবনে হুনাইফ ও হযরত কায়েস ইবনে সাদ রা. একদিন বসা ছিলেন। তারা তখন কাদিসিয়ায় থাকেন। পাশ দিয়ে একটি লাশ নেয়া হচ্ছিল। তা দেখে তারা দুজনই দাঁড়ালেন। উপস্থিত লোকেরা তাদেরকে জানাল, ‘এ এক অমুসলিমের লাশ।’ তাঁরা তখন শোনালেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পাশ দিয়ে ও একবার এক লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তিনি যখন তা দেখে দাঁড়ালেন, উপস্থিত সাহাবায়ে কেরাম তখন বললেন, এ তো ইহুদির লাশ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন ‘সে মানুষ ছিল তো?’ (সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৩১২)।#