ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় নীরিহ ছাত্র জনতার উপর পুলিশের সহযোগিতায় গুলি বর্ষনের অভিযোগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। অভিযুক্ত নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার নাম মাহমুদুর রহমান আলিফ (৩২)। সে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ১৩২ টাঙ্গাইল-৩ এর ছাত্রলীগের প্রধান সমন্নয়ক, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শেখ মুজিব হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের উপর ঝাপিয়ে পড়া হেলমেট বাহিনীর মুলহোতা ও গুলিবর্ষনকারী।লম্পট এই নরখাদকের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে তার নিজ জন্মভুমি আনেহলা ইউনিয়নের মানুষ।
এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৭নভেম্বর) সকাল ১০টায় আনেহলা ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুর রহমান আলিফকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান ও বক্তব্য দেন মানববন্ধনে অংশ নেয়া আগতরা।মাহমুদুর রহমান আলিফ আনেহলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঘাটাইল উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিউর রহমান মুক্তার একমাত্র ছেলে, চেয়ারম্যান মুক্তা বিএনপির ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামীলীগের এজেন্ট। গত ইউপি নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে দাঁড়িতে ভোট গ্রহনের মাত্র ৫ দিন আগে দলীয় নেতাকর্মীদের বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান। যার কারনে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীদের মামলা, হামলার স্বীকার হতে হয়। তার ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তার একমাত্র ছেলে আলিফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিব হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের উপর ঝাপিয়ে পড়া হেলমেট বাহিনীর মুলহোতা ও গুলিবর্ষনকারী। বক্তাদের অভিযোগ বাবার চরিত্র পেয়েছে তার ছেলেও। বাবাও যেমন সন্তানও জন্ম দিয়েছেন তেমন। বাপ-বেটার অত্যাচারে আওয়ামীলীগের অপশাষন আর শোষনের সময় এলাকার মানুষ তাদের বিরুদ্ধে সত্য কথা পর্যন্ত বলার সাহষ পেতেন না। অত্যাচার, নির্যাতনের মাত্রা এতোটাই নির্মম ছিলো যে, মুক্তার চেয়ারম্যান যে কথা, যে কাজ করতেন সেটাই আইন,তার বিরুদ্ধে কথাবলা ছিলো বারন।
এ ব্যপারে ঘাটাইল উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ কাউসার তালুকদার বলেন, আলিফকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার পাশা পাশি তার পিতা মুক্তা চেয়ারম্যানকে বিএনপির সকল স্তরের পদ পদবী থেকে বহিঃস্কার সহ গ্রেফতার করতে হবে এবং ছাত্রদের উপর গুলি বর্ষনের দায়ে অভিযুক্ত করে ফাঁসি কাষ্টে বুঝিয়ে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় আনেহলা ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে বাধ্য হবে। এ সময় এলাকার দুই শতাধিক মানুষ মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন।