কোরবান আলী তালুকদার ঃ দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া বাসায় চলছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিস। নাইট গার্ড ও চেইনম্যান দিয়ে চলে পুরো অফিসের কার্যক্রম। অফিসে কোন কর্মকর্তা না থাকায় আলমারি, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সহ কম্পিউটার এলোমেলো ভাবে পরে রয়েছে। অফিসটিতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ থাকলেও তারা ডেপুটেশনে অন্যত্র চলে গেছে। এর ফলে ভূমি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সেবা গ্রহীতারা।
সরজমিন অফিসে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের চারপাশ আগাছায় ভরপুর। অফিসে যাওয়ার জন্য সরু একটি রাস্তা রয়েছে। সেখান দিয়ে পায়ে হেটে কোন রকমে অফিসটিতে যাওয়া-আসা করা যায়। অফিসের সামনে বিশাল লাউ গাছের ঝাড়। দূর থেকে দেখলে মনে হয় এটি পরিত্যক্ত কোন এক বাসা-বাড়ী। উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে ১৯জন কর্মকর্তা/কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও মাত্র দুইজন কর্মচারী ব্যতিত অন্যরা ডেপুটেশনে অন্যত্র চলে গেছে। তবে গতমাসে উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে মজিবুর রহমান নামের একজনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি কালিহাতী উপজেলা উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় তিনি মাঝেমধ্যে ভূঞাপুর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে আসেন। এদিকে, উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে ভূমি জরিপের নোটিশ প্রদান করা, মৌজার নকশা, কাঠামো স্থাপন, জমির মালিকানা ও দখল সংক্রান্ত প্রমাণাদি উপ-স্থাপন, খাতিয়ান বা পর্চা জমির মালিককে সরবরাহ করা বিভিন্ন ধরণের সেবা পাওয়ার কথা থাকলেও এসব সেবা থেকেও বঞ্চিত রয়েছে উপজেলার লোকজন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ভুক্তভোগী লোকজন জানান, সেটেলমেন্ট অফিসে আমরা কাঙ্ক্ষিত সেবাও পাই না।
অফিসে ঠিকমতো কোন কর্মকর্তা আসে না। অফিসে কাজ নিয়ে এসে ফেরত যেতে হয় আমাদের। অফিস থেকে বলে দেয় টাঙ্গাইল থেকে কাগজপত্র উঠাতে হবে। সবকিছু আধুনিক হচ্ছে কিন্তু আমাদের এই অফিসটা এখনো আধুনিক হচ্ছেনা। আমরা যদি এখান থেকে সেবা পেতাম তাহলে সময় ও অর্থ ব্যায় করে আমাদেরকে জেলা শহরে যেতে হতোনা।
এ বিষয়ে উপজেলা (অতিরিক্ত) সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মজিবুর রহমান জানান, গত মাসে এখানে অতিরিক্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছি। জরিপ না থাকায় অফিসে তেমন কোন কাজ নেই। সেবা গ্রহীতারা আসলে কোথায় তথ্য পাওয়া যায় সেটার তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়। অফিসের সকল ধরণের কাগজপত্র ডিসি অফিসে থাকায় সেখান থেকে তাদেরকে সেবা নিতে হবে।