ল্লী বিদ্যুতের খুঁটি দ্রুত অপসারণ চায় এলাকাবাসী 

Spread the love

শরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল : একটি সড়ক একটি জনপদের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের জীবন যাপনের মান উন্নয়ন ঘটায়। জীবনের পরিধি বাড়িয়ে দেয়। সেই সড়ক দিয়ে বিদ্যুতের লাইন যাবে এটাই সত্য। কিন্তু অপরিকল্পিত এবং অবৈধভাবে যদি সেই মানব কল্যানে দেয়া বিদ্যুতের খুঁটি রাস্তায়  মানুষের চলাচলের সমস্যা  হয় সেটা হবে আরো ভয়ানক। এই সড়কটি টাঙ্গাইলের কালিহাতী  উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের জনবহুল এলাকা রতনগঞ্জ বাজার আট সিসি ঢালাইয়ের  কাজ পায় মেসার্স  সুমন মাহমুদ এন্টারপ্রাইজ 

 প্রোপাইটর সুমন ঠিকাদার 

প্রতিষ্ঠান। ৪শত ৬৮ মিটার রাস্তার কাজ ১২,৪৩০১৩৮কোটি টাকা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,  রতনগঞ্জ বাজারে  সড়কের অ্যাজিং থেকে ঢালাইয়ের দুই আড়াই  ফিট ভিতরে ১৮-২০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে গেছে কাজ সম্পন্ন করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার পরেই জনসাধারণ দূর্ঘটনা শিকার হতে হচ্ছে। রতনগঞ্জ বাজারের একাধিক দোকান মালিকরা জানান, রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে বেচা-কেনা কমে গেছে মাঝে মধ্যে এতিমের মতো দোকান খুলে বসে থাকতে হয়। এর মধ্যে আবার খুঁটির জন্য কাজ শেষ না হলে দীর্ঘ সময় সমস্যায় পড়তে হবে। তারা জানান বাজারে দোকানদারদের পক্ষ থেকে একাধিক বার খুঁটি সরানোর বিষয় বলা হলে রাস্তার ঠিকাদারের লোকজন কোনো কর্ণপাত করেনি। 

ঔষধের দোকান মালিক মুসা মিয়া জানান, এক দেড় মাস যাবত রাস্তাটির কাজ শুরু করা হয়েছে। এজন্য কমপক্ষে ৩ লক্ষ টাকা বিক্রি কম হইছে। এখন রাস্তায় ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু রাস্তার দুই ফিট  ভিতরে খুঁটি রেখে কাজ সম্পন্ন করার কারণে মাঝে মধ্যেই জনসাধারণের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কোন মানুষ রাস্তার সাইট দিয়ে হাঁটতে গিয়ে খুঁটির সাথে লেগে আঘাত পান।

রতনগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লাট মিয়া বলেন, রাস্তার কাজের শুরু থেকেই খুঁটি সরানোর জন্য বার বার বলার পড়েও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কর্ণপাত করেনি। সাপ্তাহিক রবিবার ও বুধবার দুই দিন হাট হয়, তাছাড়া প্রতিদিন সকাল বিকাল বাজার হয়। ব্যবসায়ীদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। আমি বাজার বণিক সমিতির পক্ষ থেকে আপনাদের মাধ্যমে এলজিডি এবং পল্লী বিদুৎ সমিতির কাছে দ্রুত সময়ে খুঁটি সরানো জন্য অনুরোধ করছি। তাছাড়া  টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে লোক এসে দেখে ম্যাপ করে গেছে খুঁটি সরানোর জন্য। 

মেসার্স সুমন মাহমুদ এন্টারপ্রাইজ  নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটর সুমন মাহমুদ এর মোবাইল ফোন বার বার চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে  পাওয়া যায়নি।  

কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন এবিষয়ে বলেন, এলজিডি কে ৫-১২-২০২৪ ইং তারিখে চিঠি দিয়েছি খুঁটি অপসারণ করার জন্য। খুঁটি গুলো না সরালে রাস্তার পরিপূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করা যাচ্ছে না। 

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি টাঙ্গাইল জোনের  জেনারেল ম্যানেজার শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, আমাদের কে না জানিয়ে শুধু টাঙ্গাইলের কালিহাতীতেই এ ধরনের কাজ করছে এলজিডি। অন্য কোন উপজেলায় এরকম হচ্ছে না। এলজিডির চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে ডকুমেন্টারি কথা বলতে বলেন এরকম মন গড়া কথা বলা কি ঠিক। ওনারা রাস্তার ম্যাপ করে টেন্ডার দেন তখন আমাদেরকে জানাতে পারে। সময় নিয়ে ঠিকাদার নিয়োগ করে তারপর আমাদের কাজ করতে হবে। আপনার মাধ্যমে  জানতে পারলাম যে ১৮টা খুঁটি  রাস্তার মধ্যে পড়ে গেছে তাছাড়া আমার এই বিষয়ে জানা নাই। 

টাঙ্গাইল নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এবিষয়ে বলেন, পল্লী বিদ্যুতে চিঠি দেওয়া হয়েছে ওনারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। খুঁটি সরানোর প্রক্রিয়া আছে।