মধুুপুর হানাদার মুক্ত দিবসে-৭১’র রণাঙ্গনের স্মৃতিচারণ

Spread the love

হাবিবুর রহমান ঃ বাংঙ্কারে বাংঙ্কারে আত্মগোপন। শিশু, আবাল, বৃদ্ধ, বণিতা বাদ যায়নি গাঁয়ের নব-বধুও। জীবন ও সম্ভ্রম বাঁচাতে মাটির গর্তে বাংঙ্কারে আহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন। আকাশে বিমান, সড়কে শত্রুর ট্যাংঙ্ক কামানের গাড়ী বহর। চারদিকে যুদ্ধের ধামামা। শুরু হয়ে যায় দেশ মাতৃকার টানে ৭১’র স্বাধীনতার যুদ্ধ। এ যুদ্ধে অংশ নেয় গাঁয়ের কৃষক, ঘাটের মাঝি, ছাত্র, শিক্ষক, জনতা। বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে অস্ত্র হাতে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার ধামাল ছেলেরা। লাল সবুজের পতাকা ছিনিয়ে আনতে নয় মাস রক্তক্ষয়ি যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। এ সব কথা বলছিলেন ১৯৭১ সালের মহান মুক্তি যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

১০ ডিসেম্বর মধুপুর হানাদার মুক্ত দিবসে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী পাঁচ বীর মুক্তিযোদ্ধা। তারা বলেন, ১৪ এপ্রিল প্রতিরোধ যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া এ যুদ্ধে মধুপুর অঞ্চলে কয়েকটি যুদ্ধ হয়। এর মধ্যে টেংরী, মালাউড়ি, রাংঙ্গামাটিয়া ও মধুপুর বন অন্যতম। স্মৃতিচারণে তারা ৭১ এর রঙ্গাণের নানা স্মৃতি তুলে ধরে। ১০ ডিসেম্বর শনিবার মধুপুর হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালি, আলোচনা সভা, গণসংগীত ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মধুপুর জেলা বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ। মধুপুর জেলা বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ আহবায়ক মাসুদ পারভেজ সভাপতিত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক জিহাদী, হাবিবুর রহমান, আব্দুল হালিম, আব্দুল হালিম চিশতি, আব্দুস সামাদ।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মধুপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ইমরান হোসেন, লাল মিয়া, রাবিয়া সুলতানা, নিজেরা করি’র প্রতিনিধি অশিষ ঘোষ প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মধুপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস.এম শহীদ। এর আগে সকালে একটি মধুপুর জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে নিজেরা করি সংগঠন গণসংগীত পরিবেশন করে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, জেলা বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ, সাংবাদিক, শিক্ষক, স্কাউটসহ বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে।