অন্তু দাস হৃদয় :
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে অংশগ্রহণের সর্বাত্তক চেষ্টা করানো হবে। পর পর তারা তিনটি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে। আগামী নির্বাচনেও বিপর্যয়ের সময় এসে গেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে তারা দল অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক (এমপি)।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনও দেশে সংবিধান অনুযায়ী হবে। চেষ্টা করব বিএনপিকে নির্বাচনে আনার। না আসলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হবে। গত তিনটি নির্বাচনে বিএনপির চরম বিপর্যয় হয়েছে। তাদের কর্মকান্ড দেখে মনে হয়, আগামী নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো বিএনপির বিপর্যয়ের সময় এসে গেছে। তবে আমি করি, বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং বিএনপির অস্তিত্বের স্বার্থে তাদের নেতৃবৃন্দ একটা পর্যায়ে গিয়ে নির্বাচনে আসতে বাধ্য হবে।
শনিবার (৪ মার্চ ) দুপুরে কৃষিমন্ত্রী টাঙ্গাইল কুমুদিনী সরকারী কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর দেশে আসবে না, আমাদের সংবিধানে নেই। আন্দোলনের নামে বিএনপি ২০১৫ সালের মতো আবারও তান্ডব সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। জনগণের মাঝে বিএনপির কোন ভিত্তি নেই। জনগণের সম্পৃক্ততা নেই বলে বিএনপির আন্দোলন আগের মতো এবারও কোন কাজে আসবে না।
ছাত্রীদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অনেক উন্নত হয়েছে। তবে সকল মানুষের জীবনকে উন্নত করতে হলে দেশটিকে আরো উন্নত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন দেখে মানুষ খুবই খুশী। মানুষ উন্নয়নের প্রশংসা করছে। স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ নির্মাণের, সে লক্ষ্যেই দেশ এগিয়ে চলেছে। দেশের জনগণ আবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ আবার শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় আনবে। আগামী নির্বাচনে জনগণ আবার আওয়ামী লীগকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে। কাজেই, আগামী দিনেও শেখ হাসিনা দেশকে নেতৃত্ব দিবে। বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই, তাদের কথায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে না, সরকারের পতন হবে না। বর্তমান সরকার কন্টিনিউ করবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সামনে রোজার মাস আসছে। সরকার সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছে। রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোন সংকট হবে না। এদিকে করোনার শুরু থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ পোল্ট্রি ব্যবসায়ী, খামারি, উদ্যোক্তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন, লস দিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে এ বছর গত দুই মাস ধরে পোল্ট্রি মুরগির দাম অনেক বেশি। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলের প্রান্তিক খামারিরাও ঠিকমতো দাম পাচ্ছেন না। এ বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে তুলে ধরা হবে। এমন একটা নীতি আমাদের নির্ধারণ করতে হবে, যার মাধ্যমে পোল্ট্রির দাম সহনশীল রাখা যাবে। যেন নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা মধ্যে থাকে এবং একইসঙ্গে ব্যবসায়ী, খামারি ও উদ্যোক্তারা লাভবান হয়।
কুমুদিনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বদরুল আলমের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের (এমপি), ছানোয়ার হোসেন (এমপি), সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার মমতা হেনা লাভলী (এমপি), টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক, কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল করিম মিঞা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্য এর পরে বিকেলে কুমুদিনী কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
যুগধারা ডট টিভি/অন্তু দাস হৃদয়