যুগধারা ডেস্ক :
গেল কয়েক বছর ধরেই উত্তরের জেলা জয়পুরহাটে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভূট্টা চাষ। অন্য ফসলের চেয়ে রোগবালাই ও উৎপাদন খরচ কম এই ফসলে। পাশাপাশি বর্তমান বাজারে ভালো দামও পাওয়া যাচ্ছে এই ফসলে। এতে করে অর্থকরী এই ফসলে নতুন করে স্বপ্ন বুনছেন স্থানীয় চাষীরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, জয়পুরহাটের সদর উপজেলার দোগাছী, ভাদসা, দাদরা, জামালপুর, আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জ, জিয়াপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে এবার ভূট্টার চাষ করেছেন কৃষকরা। ভুট্টার চাষে সেচ খরচ যেমন কম, তেমনি রোগবালাই আর পোকা মাকড়ের আক্রমণ নেই বললেই চলে। আবার পোল্ট্রি, মৎস্য ও গো-খাদ্য হিসেবে ভুট্টার চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। এ ছাড়াও জ্বালানি হিসেবে ভুট্টাগাছ ও ছোবড়া বিক্রি করে অতিরিক্ত আয় হয় চাষিদের।
ইতোমধ্যে ভূট্টার গাছে গাছে ফুল ও দানা আসতে শুরু করেছে। এক বিঘাতে ৪০ মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।এবার প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। আর বাজারে ভালো দাম পাওয়া গেলে ৪০ হাজার টাকা বিক্রির আশা করছেন কৃষকরা।তাইতো স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার দাদড়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়।গত বছর এক বিঘাতে ৪০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করেছিলাম। বাজারে ন্যায্য দাম পেলে এবারও লাভবান হতে পারব। এজন্য সরকার যেন এদিকে নজর দেয়।’
আক্কেলপুর উপজেলার মাতাপুর গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভূট্টা চাষে তেমন ঝামেলা নেই এবার আড়াই বিঘা জমিতে ভূট্টার চাষ করেছি প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি, এবার ভালো দাম পাব।’
পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা রসুলপুর গ্রামের আফজাল হোসেন বলেন, জয়পুরহাট জেলায় অনেক পোল্ট্রি খামার রয়েছে, যার জন্য ভূটার চাহিদা অনেকটা বেড়েছে।অন্য ফসলের চেয়ে ভূট্টা অনেক লাভজনক। ভূট্টা ছাড়াও জ্বালানি হিসেবে ভুট্টাগাছ ও ছোবড়া বিক্রি করে অতিরিক্ত আয় করা যায়।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাহেলা পারভীন জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৯০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে।জেলায় বেশ কিছু পোল্ট্রি, মৎস্য ও গো-খাদ্য কারখানা থাকায় স্থানীয়ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভুট্টার চাহিদা।
যুগধারা ডট টিভি/অন্তু