যুগধারা ডেস্ক :
গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হওয়ায় অনলাইন ফুড সার্ভিস ফুড পান্ডাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ। বুধবার (১০ মে) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ বলেন, ‘আপনারা জানেন ফুড পান্ডা পুরো ঢাকা শহরে খাবার ডেলিভারির কাজ করে থাকে। আমরা গত ৯ এপ্রিল (রোববার) তাদের নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু তথ্য চেয়ে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। যার আজ পর্যন্ত তারা কোনো উত্তর তারা দিতে পারেননি।’
‘আমাদের বিষয় ছিল যে ওনারা যে ডেলিভারি ম্যান বা রাইডারদের নিয়োগ করছে তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক কীভাবে করছেন। ডেলিভারি ম্যান বা রাইডারদের কোন তথ্য কাস্টমারদের কাছে তারা দেননা। আমাদের প্রথম সমস্যা হচ্ছে এটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে ডেলিভারি ম্যান বা রাইডারদের মাধ্যমে যদি কোন ধরণের কোন অপরাধ যদি সংঘটিত হয় তবে আপনি কখনওই সেই ফুড পান্ডাকে খুঁজে পাবেন না আপনার সমস্যা বলার জন্যে। ওনাদের একটি চ্যাটবক্স আছে সেখানে লিখে রাখলে তারা তাদের সময় মতো আপনাকে রিপ্লাই দিবে।’
‘আমাদের মতে কোন ডেলিভারি ম্যান বা রাইডার যদি গুরুতর কোনো অপরাধ করে সেই মুহূর্তে জরুরি সেবা হিসেবে ফুড পান্ডার কোন সার্ভিস নেই।’
সুমাইয়া আজিজ বলেন, ‘গত ৯ এপ্রিল ফুড পান্ডার একজন ডেলিভারি ম্যান আমাদের খাবার ডেলিভারি দিতে এসে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তিনি কি নিয়ে পালান বা কেন পালান এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চেয়ে তাকে ফোন দেয়া হলে আমাদের নাম্বার তিনি ব্লক করে দেন। এ বিষয়ে ফুড পান্ডার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের কাস্টমারের জন্যে শুধু একটি চ্যাটবক্স রয়েছে। যেখানে আমরা কাস্টমাররা কিছু লিখে রাখলে তারা তাদের সময়মত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।’
‘এটা যেহেতু ক্রিমিনাল অফেন্স তাই আমরা চ্যাটবক্সের মাধ্যমে তাদের জানাই যে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে। চ্যাটবক্সে এ ধরণের ক্রিমিনাল অফেন্স নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব না। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নি।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে আমাদের প্রায় ১ থেকে ২ কোটি মানুষ বসবাস করে, সেখানে ফুড পান্ডার গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। অনেক পরিবারই আছে যাদের স্বামী-স্ত্রী দুজনই চাকরি করছেন, বাচ্চার জন্যে বা বৃদ্ধ বাবা মার জন্যে ফুড পান্ডায় খাবার অর্ডার দিয়ে খালি বাসায় পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের নিরাপত্তা কী? এর কোনো জবাব বা সঠিক কোনো তথ্য ফুড পান্ডা আমাদেরকে দিতে পারেননি।’
ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ বলেন, ‘আমরা তাদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে যখন লিগ্যাল নোটিশ দিই তার জবাবে তারা উকিলের মারফত ১৪ দিনের সময় চান। গত ১৬ এপ্রিল তারা এই সময় চান। তবে ১৪ দিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তাদের কোন উত্তর আমরা পাইনি। এ কারণেই আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
যুগধারা ডট টিভি/অন্তু