ধনবাড়ী প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় সাব-রেজিষ্ট্রার এসএস রুবেল পারভেজের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন আরেক অবসর প্রাপ্ত সাব-রেজিষ্ট্রার। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, দুদক, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগটি গত বৃহস্পতিবার (১১ মে) দেশের প্রথম পদোন্নতি প্রাপ্ত নারী সাব-রেজিষ্ট্রার আনোয়ারা বেগম (অব:) দায়ের করেন। তিনি উপজেলার পোড়াবাড়ী গ্রামের মৃত সৈয়দ তারেক আলম শাহ’র স্ত্রী।
দায়ের করা অভিযোগপত্র ও ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, না বিক্রির শর্তে তাঁর পিতা মৃত্যুর আগে রেজিঃকৃত হেবা বেলএয়াজ মূলে মাতাসহ ৫ বোনকে বাড়ির ১৬ শতক জমি লিখে দেন। পাথালিয়ে মৌজার এসএ খতিয়ান ১৭৫, এসএ দাগ ১২। বিআরএস খতিয়ান ৬১৪ দাগ নং ৬৫।
পরিবারের সকল সদস্যদের কবরস্থান নির্ধারণ করে যান তিনি। তিনি মারা গেলে দুই বোন ও দুই ভাগ্নে জমি বিক্রির পায়তারা করে। বাঁধা দিলে মেরে ফেলার হমকী দেয় আমাকে। উক্ত সম্পত্তি খারিজ ও বন্টন নামা ব্যতিত বিক্রি বন্ধে গত সোমবার ধনবাড়ী বর্তমান সাব-রেজিষ্ট্রার এজলাসে সমস্ত কাজগপত্রসহ আবেদন করি।
অভিয়োগে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই সাব-রেজিষ্ট্রার ক্ষিপ্ত হয়ে কাজগপত্র এজলাসে থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে আমাকে অফিস কক্ষ থেকে কর্মচারী দ্বারা বের করে দেয়। বারবার বললেও সাব-রেজিষ্ট্রার দললি লেখকদের যোগসাজশ করে আবেদনটি উপেক্ষা করে ৪টি দললি গোপন করে গত মঙ্গলবার সরকারী নীতিমালা অমান্য করে রেজিষ্ট্রি করে এবং চিহ্নিত নকশাটিও উল্টাপাল্টা করে। এ ধরণের আচারণে আমি মর্মাহত।
‘বিষয়টি অস্বীকার করে মেহেরুন্নেছা। এ সময় তাঁর ছেলে পাশ থেকে সংযোগ কেটে দিতে বলে। তবে জমি বিক্রির কথা স্বীকার করে ফিরোজা বেগম তার অপর বোন।
এ বিষয়ে জানতে সাব-রেজিষ্ট্রার এসএম রুবেল পারভেজের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘ওই নারীকে কোনো কিছু বুঝালে বুঝতে চায় না। এটা তাদের পারিবারিক ব্যাপার। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি বলে জানান তিনি।
ধনবাড়ী দলিল লেখক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তাফাকে তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ‘তিনি তাঁর ব্যক্তিগত চেম্বারে চা খাওয়ার দাওয়াত দেন সাংবাদিকদের।
ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, ‘অভিযোগটি এখনও হাতে পাইনি। অভিযোগ হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
যুগধারা ডট টিভি/অন্তু