যমুনার পেটে নাগরপুরের সলিমাবাদ পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

Spread the love

নাগরপুর প্রতিনিধি :

বন্যা শুরুর আগেই টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক বসতবাড়ি ও ফসলি জমি যমুনার গর্ভে চলে গেছে।

গত বুধবার (৭ জুন) থেকে শুরু হওয়া ভাঙনে সলিমাবাদ পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের অর্ধেক যমুনার পেটে চলে গেছে। তবে, ইতিমধ্যে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

এ দিকে, ভাঙন রোধে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর চিঠি দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ভাঙনে শত শত ঘর-বাড়ি যমুনার গর্ভে চলে যায়। বিশেষ করে তিন ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়।

সেগুলো হলো- সলিমাবাদ ইউনিয়নের পাইসকা মাইঝাইল, খাস ঘুনিপাড়া, চর সলিমাবাদ ও ভূতের মোড়, ভারড়া ইউনিয়নের শাহজানী, মারমা ও উলাডাব এবং দপ্তিয়র ইউনিয়নের নিশ্চিতপুর, কাটি নিশ্চিতপুর ও বাক কাটারি।

গত কয়েক বছরে এসব এলাকার সহস্রাধিক ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে।

সলিমাবাদ পশ্চিমপাড়ার আব্দুল আওয়াল মোল্লা বলেন, ‘ভাঙন রোধে শুকনো মৌসুমে যদি ব্লক বা বেড়িবাঁধ করা হতো, তাহলে গ্রামের হাজারো মানুষের উপকার হতো।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আখিরুল বলেন, ‘সলিমাবাদ পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ভুতের মোড় পর্যন্ত এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্কুলের অর্ধেক নদীতে চলে গেছে।

সলিমাবাদ পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ বলেন, ‘বুধবার দুই ঘণ্টার ভাঙনে বিদ্যালয়ের টয়লেট ও স্কুল ভবনের একটি কক্ষ চলে গেছে। ভাঙনের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও স্থায়ী কোনো সমাধান হবে না। স্থায়ী সমাধানের জন্য বেড়িবাঁধ ও ব্লক করার দাবি জানাচ্ছি।’

সলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহীদুল ইসলাম অপু বলেন, ‘নদী ভাঙনে সলিমাবাদ পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বিলীনের পথে। তবে, ভাঙন রোধে ইতিমধ্যে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়টি রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী সমাধানের পরিকল্পনাও আছে।’

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। বন্যাকালীন সময় স্থায়ী সমাধান করা যাবে না। পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে প্রকল্প চলমান আছে। সেই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানের পরিকল্পনা আছে।

যুগধারা ডট টিভি/অন্তু