যুগধারা ডেস্ক :
দেশের আকাশে ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে হিসেবে আগামী ২৯ জুন বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে।
সোমবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
এর আগে, সৌদি আরব জানিয়েছিল, আগামী ২৮ জুন তাদের দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। সৌদি আরবের পাশাপাশি কাতার, আরব আমিরাত, বাহরাইনসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে উদযাপিত হবে মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসবটি।
ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়ই লাখ লাখ মুসলমান সৌদি আরবের পবিত্র ভূমিতে হজ পালনরত অবস্থায় থাকেন। হাজিরা ঈদের দিন সকালে কোরবানি দেন।
ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী, জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হয়ে থাকে। এদিন মুসলিমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন।
ঈদুল আজহা মূলত ত্যাগ ও বিসর্জনের বার্তাবাহী একটি ইবাদত। এদিন পশু কোরবানির মাধ্যমে ত্যাগের একটি প্রতীকী প্রকাশ ঘটানো হয়। এর মাধ্যমে মনের পশুত্বকে বিসর্জন দিয়ে নিজেকে নৈতিক ও আত্মিকভাবে পরিশীলিত করা হয়। তাই কোরবানি যেন লোক-দেখানো উৎসব না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে তাগিদ করা হয়েছে কোরআন ও হাদিসে।
প্রায় দুই হাজার বছর আগে নিজের ছেলেকে কোরবানি করার মতো কঠিন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিম আ.-কে। সেই মহাপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ইবরাহিম আ. খলিলুল্লাহ বা আল্লাহর বন্ধু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। প্রিয় সন্তানকে জবাই করার জন্য প্রস্তুত হলেও শেষ পর্যন্ত তা করতে হয়নি তাকে। এখান থেকেই পশু কোরবানির নির্দেশনা আসে উম্মতে মোহাম্মদির জন্য।