যুগধারা ডেস্ক :
ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেনে ভারতীয় বোলারদের শাসন করে নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূচনা করেছিলেন তামিম ইকবাল। সেই ২০০৭ সালেই পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে নিজের আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। জহির খানকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে হাঁকানো সেই ছয় আজও বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দাপুটে জয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কালের বিবর্তনে তামিম ইকবাল হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশে সেরা ক্রিকেটার।
তবে এই তারকাই বোর্ডের প্রতি চরম অভিমানে! বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) চট্টগ্রামের স্থানীয় এক হোটেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে অশ্রুসিক্ত হয়ে অবসরের ঘোষণা দিলেন তিনি।
বিশ্বকাপ শুরুর তিন মাস আগেই হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় দিলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এ সময় নিজের আবেগকে ধরে রাখতে পারেনি ৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। তামিমের বিদায়ের ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদায়ী শুভেচ্ছা ও আবেগঘন বার্তা জানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশের আপামর ক্রিকেট ভক্তরা। এমনকি সাবেক থেকে বর্তমান অনেক ক্রিকেটার দেশের ক্রিকেটে ড্যাশিং এই ওপেনারের অবদান নিয়ে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন।
এ দিকে তার বিদায়ে যখন সতীর্থরা মন্তব্য করছিলেন তখন বারাবরের মতো চুপ ছিলেন সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছিলো ক্রিকেটপ্রেমীদের নানা কানঘুষা। তবে অবশেষ সেই নিরবতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে টাইগার অলরাউন্ডার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তামিমকে নিয়ে দিলেন আবেগঘন বার্তা।
নিজের ফেসবুকে সাকিব লিখেছেন, ‘তুমি তোমার নতুন জীবনে ছক্কা হাঁকাতে থাকো এবং তোমার প্রিয়জনের সঙ্গে নতুন মুহূর্তগুলো উপভোগ কর।’ বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের মন্তব্য, ২০০৩ সাল থেকে জাতীয় দলের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৫ স্তরে আমাদের একসঙ্গে প্রথম পথ চলা। আমরা গত ২০ বছর ধরে আমাদের স্বপ্ন ও লক্ষ্যগুলো একসঙ্গে ভাগ করে একটি দৃঢ় বন্ধন এবং বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছি। আমরা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি এবং তোমার আবেগ এবং আগ্রাসন আরো অনেককে অনুপ্রাণিত করতে সহায়তা করেছে।
সাকিব আরো যোগ করেন, একই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমরা একে অপরের শক্তির ওপর নির্ভর করেছিলাম- আমাদের দেশের জন্য জয়লাভ করার জন্য। তোমার রান এবং রেকর্ডগুলো নিজের পক্ষে কথা বলে এবং আমরা, টিম সঙ্গী হিসাবে, একজন খেলোয়াড় হিসাবে তুমি যা কিছু অর্জন করেছ তার জন্য আমরা অত্যন্ত গর্বিত।