ঘাটাইল প্রতিনিধি : ঘাটাইলের প্রতিটি গ্রামে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ দেখা দিয়েছে। গত তিন মাসে আনুমানিক আড়াই হাজার গবাদি পশু মারা গেছে। এসবের মধ্যে বাছুর গরু আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি এবং মৃত্যু হারও বেশি।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা মূলত গরুর ত্বকে লাম্প বা গুটি গুটি আকারে প্রকাশ পায়। এই রোগটি উচ্চ মাত্রার ব্যাথা এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করে যা গরুর স্বাস্হ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। সরে জমিনে কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায় প্রায় প্রতিটি গ্রামে বা খামারে এক বা একাধিক গরু আক্রান্ত হচ্ছে। গরুর শরীরে গুটি গুলো ফেটে গিয়ে ঘা তৈরি হয়। এ সময় গরুর শরীরে উচ্চমাত্রার জ্বর থাকে, ক্ষুধা মন্দা ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। অনেকে স্থানীয় পশু চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করাচ্ছেন। এ রোগের প্রতিষেধক টীকা থাকলেও তা সরকারি পর্যায়ে সরবরাহ করা হচ্ছে না। ফলে কৃষকরা তাদের গরুর টিকা দিতে পারছে না।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ বাহাউদ্দীন সরোয়ার রিজভী জানান, প্রতিদিনই দু তিনটি গরু কৃষকরা তাদের অফিসে নিয়ে আসেন। এবং গরুর চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। আক্রান্ত গরুকে লেবুর রস, সোডা, নিমপাতা প্যারাসিটামল এসব ব্যবহারের পরামর্শ দেন। প্রাণিসম্পদ অফিসের চিকিৎসা নিতে আসা জামুরিয়া ইউনিয়নের আটচল্লিশা গ্রামের জুয়েল জানান, তার তিনটি গরু আক্রান্ত হয়েছিল। একটি মারা গেছে। তাদের গ্রামে অন্তত ত্রিশটি গরু আক্রান্ত। প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আরো জানান এ ব্যাপারে তারা উঠান বৈঠক, প্রশিক্ষণ কর্মসূচিসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছেন।