“যেনো বিদ্যুৎ যায়না, মাঝে মাঝে আসে ”
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলায় ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বিদ্যুৎ এর মাত্রারিক্ত লোডশেডিং এ জনসাধারণের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলছে। যেন বিদ্যুৎ যায়না, যেন মাঝে মাঝে আসে!
সরেজমিনে, উপজেলাটিতে পিডিবি ৬০% এবং ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুত সমিতি-১ এর ৪০% বিদ্যুতয়ানের মাধ্যমে শত ভাগ বিদ্যুত নিশ্চিত করা সম্ভব হলেও, ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ যথাযথ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে ব্যার্থ হয়েছে বলে জানা যায়। গড়ে গত সময়ে গোপালপুর ও ঘাটাইল সাব-জোনের মাধ্যমে ভূঞাপুর পল্লীবিদ্যুৎ গ্রাহকদের নিয়মিত যথাযথ বিদ্যুৎ পেলেও। বর্তমানে তা আর পাচ্ছেনা বিদ্যুৎ গ্রাহেকেরা। ভূঞাপুর মাইজবাড়ীতে ৩৩/১১ কেভি ১০ এমভিএইনডোর টাইপ উপকেন্দ্র নিমার্ণ কাজ(টার্ণ-কী) এর কাজ, প্রকল্প আপগ্রেডেশন অবরুরাল ইলেক্ট্রফিকেশন ডিস্ট্রি বিউশন সিস্টেম (ডিসিএসডি) বাপবিবো এর উদ্যেগে, গত ০১ জুলাই ২০১৪ খ্রি: থেকে ৩০ জুন ২০২১ মেয়াদের শেষ তারিখে প্রায় ৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে মেসার্স সিমন্সইন্ডিয়া লিঃ এর ঠিকাদার কাজটি সম্পূর্ণ করে।
তবে, বর্তমানে ভূঞাপুর সাব-জোনাল অফিসের কার্যক্রম চলমান থাকালেও অতীতের গোপালপুর-ঘাটাইল সাব-স্টেশনের নিয়ন্ত্রাধীন সময়ের চেয়ে মাত্রারিক্ত লোডশেডিং চলমান রয়েছে বলে জানান, ভূঞাপুরের পল্লী গ্রাহকেরা।
বাংলাদেশ সম্প্রতি সময়ে বিদ্যুতের কিছু সমস্যা হলেও, তবে বর্তমানে বিদ্যুৎ সমস্যা নিরশন হবে অচিরেরই জানা যায়। যদিও বিদ্যুৎ ঘার্তির কোন প্রভাব কোন সময়েই এই সাব-জোনের গ্রাহকেরা পড়ার কথা নয়, একটি বিশ্বাস যোগ্য সূত্রে বলে জানা যায়। সম্প্রতি সময়ের তবে কেন এই জেনের গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সমস্যা পোহাতে হচ্ছে? তা ভেবে পাচ্ছেনা এখানের মানুষেরা। মাইজ বাড়ীগ্রামের পল্লীবিদ্যুৎ গ্রাহক আ. রশিদ খান সহ আরও অনেকেই জানান, দিনে প্রায় গড়ে ৪/৫ ঘন্টামাত্র বিদ্যুৎ পায় গ্রাহকেরা প্রায় ১৯ ঘন্টাই বিদ্যুৎ থকেনা। আগস্টের ০৫ তারিখের পর থেকে লোডশেডিং তীব্রতা আরও বেড়েছে। পল্লীর বিদ্যুতের লোডশেডিং জীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে, চরম গরমের সাথে রয়েছে মাত্রারিক্ত লোডশেডিং, সারারাত কোনবিদ্যুতের দেখাই পাইনা!
ভূঞাপুর সাব-জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, ভূঞাপুর-গোপালপুর-ঘাটাইল উপজেলার অংশিক নিয়ে গঠিত, এই সাব-জোনাটি পাওয়ার গ্রিড কোম্পানী অব বাংলাদেশ (PGCB), ঘাটাইল এর আওতায় থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় করে। তবে, ভূঞাপুর সাব-জোনে প্রায় ২৫, ১৭১ জন গ্রাহক রয়েছেন। প্রতিদিন প্রায় ৫মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ এর প্রয়োজন পড়ে থাকে পল্লীবিদ্যুৎ গ্রাহকদের।
সাব-জোনটির এসিস্টেন্ট জেনারেল ম্যানেজার, অপারেশন এন্ড মেইন ন্টেন্টস্ (ONM),, সরকার মোহন চন্দ্র সরকার জানান, পিডিবিচিপ ইঞ্জিনিয়ার কর্তৃক এর অঞ্চলের বিদ্যুৎ বরাদ্দ যে ভাবে নির্ধারন করে দিয়েছে সেই ভাবেই তারা ঘাটাইল গ্রিড থেকে ১.৫০-২ মেগা ওয়াট বরাদ্দ পান। উচ্চতর কর্তৃপক্ষর বিষয়টি যদি বিশেষ ভাবে বিবেচনায় এনে বিদ্যুৎ বরাদ্দের পরিমান বাড়াতে পারেন, তবে গ্রাহকেরা তীব্র লোডশেডিং এর হাত থেকে মুক্তি পাবেন।