ভূঞাপুরে চরাঞ্চলে পুষ্টি গুণসম্পন্ন মাসকলাই চাষের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

Spread the love

কোরবান আলী তালুকদার ঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনার বুকে জেগে উঠা বালু চরে চাষ হচ্ছে ভিটামিন বি সমৃদ্ধ ও পুষ্টি গুণসম্পন্ন মাসকলাইয়ের চাষ। গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে যমুনা চরাঞ্চলে ব্যাপকভাবে এর চাষ হচ্ছে। বাজারে ভালো দাম থাকায় উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলের কৃষকদের মাঝে মাসকলাই চাষে আগ্রহ বাড়ছে। জমিতে কোন রকম মাটি আলগা করে মাসকলাইয়ের বীজ ছিটিয়ে দিয়ে কোন প্রকার নিড়ানি ও সেচ ছাড়াই এর চাষ হয়ে থাকে। যখন মাসকলাইয়ের ছেইগুলো পেকে সোনালী রঙের হয়ে আসে তখন সেগুলো খেত থেকে উঠিয়ে মাড়াই করে সংরক্ষণ করে কৃষকরা। জানা যায়, উপজেলার অর্জুনা ও গাবসারা ইউনিয়নের চরাঞ্চলের কৃষকেরা মাঠ জুড়ে মাসকলাই চাষ করেছেন।

ধূধূ বালুচরে যতদূর চোখ যায় মাসকলাই গাছে ছেয়ে গেছে চারিদিক। প্রতিটি মাহকলাইয়ের গাছগুলোতে ছেই ধরতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলন হবে বলে মনে করছেন এখানকার কৃষকরা। উপজেলার বামনহাটা গ্রামের মাসকলাই চাষী মফিজ মিয়া জানান, এবছর মাসকলাইয়ের আবাদ ভালো হয়েছে। আমি অন্যান্য ফসলের সাথে মাসকলাই আবাদ করি। খরচ কম হওয়ায় এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় গত বছরের চেয়ে এবার আরো বেশি জমিতে মাসকলাই চাষ করেছি। অর্জুনা চরাঞ্চলের কৃষক আমজাদ আলী বলেন, এবছর আমি প্রায় দুই বিঘা জমিতে মাসকলাই চাষ করেছি। ইতিমধ্যে গাছগুলো ছেই ধরতে শুরু করেছে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মাসকলাইয়ের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি। গাবসারা চরাঞ্চলের মাসকলাই চাষী মো. জমির উদ্দিন বলেন, আমাদের চরাঞ্চলের বালি মাটি ও আবহাওয়া মাসকলাই চাষের জন্য খুবই উপযোগ। এবছর আমাদের চরাঞ্চলের কৃষকরা গত বছরের চেয়ে বেশি জমিতে মাসকলাই আবাদ করেছে। স্থানীয় হাট-বাজারে চরাঞ্চলের অন্যান্য ফসলের চেয়ে মাসকলাইয়ের চাহিদা ও দাম অনেক বেশি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ূন কবীর বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার চরাঞ্চলে ১ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিতে মাসকলাই চাষ হয়েছে। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতি হেক্টর জমিতে ১.২৫ মেট্টিকটন মাসকলাই উৎপাদন হবে। চলতি মৌসুমে মাসকলাই ডালের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৭ মেট্টিক টন। আরো বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছি।