যুগধারা ডেস্ক : জীবনের সেরা দৌড়টাই হয়তো দৌড়ালেন পাকিস্তানের সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী! পুলিশকে এগিয়ে আসতে দেখেই গাড়ি থেকে নেমে প্রাণপণ দৌড়ে আদালতে ঢুকে পড়েন তিনি। ইমরান খানের সহযোগী ফাওয়াদ চৌধুরী পাকিস্তানের সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা।মঙ্গলবার (১৭ মে) ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বরে এই ঘটনা ঘটেছে। ইতমধ্যে ফাওয়াদ চৌধুরীর গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালিয়ে আদালতের ভবনে ঢুকে পড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। সূত্র: এনডিটিভি জানা যায়, গত সপ্তাহে ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পর তার দলের সমর্থকদের সহিংস বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তারই সহযোগী পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ফাওয়াদ চৌধুরীকে। তার বিরুদ্ধে জননিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। ওই মামলায় খালাস চেয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন এ পিটিআই নেতা। মঙ্গলবার (১৬ মে) ছিল তার শুনানি। এদিন বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব আবেদনের শুনানির পর ফাওয়াদের মুক্তির আদেশ দেন। তার আগে কোনো ধরনের সহিংস প্রতিবাদে অংশ নেবেন না বা উসকানি দেবেন না মর্মে অঙ্গীকার করেন সাবেক মন্ত্রী। তবে আদালত তার মুক্তির বিষয়ে লিখিত আদেশ জারি করার আগেই হাইকোর্ট থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এরপরই দেখা যায় সেই ঘটনা।ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, আদালত থেকে বেরিয়ে বাইরে অপেক্ষারত সাদা এসইউভিতে উঠে বসেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক তথ্যমন্ত্রী।একটু পরেই বুঝতে পারেন, পুলিশ সদস্যরা তার দিকে এগিয়ে আসছেন। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে ভো দৌড় দেন তিনি।এক দৌড়ে আবারও আদালতের মধ্যে ঢুকে পড়েন। টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী গাড়ি থেকে বেরিয়ে আদালত ভবনের প্রবেশপথের দিকে পড়িমরি করে ছুটছেন।এ সময় আইনজীবীরা সহায়তার জন্য এগিয়ে এলেও তিনি তাদের পাত্তা না দিয়ে ছুটতে থাকেন। পেছনে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘তার জন্য পানি আনুন’।আরেকটি কণ্ঠস্বর বলে ওঠে, ‘অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় ফাওয়াদ চৌধুরীর স্ত্রী হিবা বলেন, ‘তারা আবারও তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছে।’ পরে পিটিআইয়ের এই নেতা বিচারপতি আওরঙ্গজেবকে জানান যে, আদালত জামিন দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করেছে।জবাবে বিচারক তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আপনি নিজে একজন আইনজীবী।এই বিষয়টি বিবেচনা করে আপনার লিখিত আদেশ জারি পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে পাকিস্তানের সাবেক এই মন্ত্রীকে কোনো মামলায় গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে বিচারক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পান তিনি। যুগধারা ডট টিভি/অন্তু