আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় আসছেন শোলেট

Spread the love

যুগধারা ডেস্ক :

আগামী (১৪ ফেব্রুয়ারি) ২৪ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক এইচ শোলেট। এই সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেনের বিশেষ এ উপদেষ্টা রোহিঙ্গা ইস্যুকে গুরুত্ব দেবেন।

এ ছাড়া, বাংলাদেশ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও এই বাহিনীর সাত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেয়া নিষেধাজ্ঞা বাতিলের অনুরোধ করতে পারে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় ঢাকায় আসবেন শোলেট। আসার দিন কোনো কর্মসূচি না থাকলেও পরের দিন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে সন্ধ্যায় ঢাকা ছাড়বেন তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশেষ উপদেষ্টা শোলেট তার সফরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা, প্রত্যাবাসনে কিভাবে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করা যায় এবং বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে আলোচনা করবেন।

শোলেটের এই সফরে র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়ে কোনো উদ্যোগ আছে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সম্ভাবনা আছে।

জানা গেছে, শোলেটের সফরের আগে ১২ ফেব্রুয়ারি (রোববার) যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ থেকে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসবেন। তারা কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন।

এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের খুব ভাল সম্পর্ক চলছে। শোলেট এলে আমরা তাকে স্বাগত জানাব।

ব্লিনকেনের বিশেষ উপদেষ্টার এই সফরে কি কি বিষয় থাকছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সবসময়ই এ বিষয়গুলো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে ধরেছি। আমাদের লোকেদের উপকার হবে, এমন বিষয় আমরা তাদের সঙ্গে সবসময়ই আলোচনা করি।

গত বছরের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন অভিযানের পাঁচ বছর পূর্তিতে দেয়া বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসনের ঘোষণা দেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা তিন মাস পর ঢাকা সফর করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েস। তার সফরে মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের আনুষ্ঠানিকভাবে পুনর্বাসন শুরু করে দেশটি। গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুর দিকে ৬২ রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসন করে যুক্তরাষ্ট্র।