যুগধারা ডেস্ক :
উয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালে উঠেছিল ক্রোয়েশিয়া। ২০১৮ বিশ্বকাপে রানার্স-আপ ও ২০২২ বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়া তাদের সোনালি প্রজন্ম শেষের পথে। তাদের সামনে সুযোগ ছিল মেজর একটি শিরোপা জয়ের। কিন্তু টাইব্রেকার নামক ভাগ্য পরীক্ষায় স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ক্রোয়াটদের।
রবিবার দিবাগত রাতে রটারডামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে পেনাল্টি শ্যুটআউটে মদ্রিচ-কোভাচিচদের ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়ে নেশন্স লিগের শিরোপা জিতে নিয়েছে স্পেন। যা গেল এক দশকেরও বেশি সময় পর তাদের জেতা প্রথম কোনো শিরোপা। সবশেষ তারা ২০১২ সালে ইউরো জিতেছিল।
এর আগে নেশন্স লিগের প্রথম আসরে পর্তুগাল ও দ্বিতীয় আসরে ফ্রান্স চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। অবশ্য টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠে শিরোপার দেখা পেল স্পেন। সবশেষ ২০২১ সালের ফাইনালে তারা ফ্রান্সের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল।
এবারের আসরের ফাইনালেও তারা ভক্ত-সমর্থকের স্নায়ুর নিদারুণ পরীক্ষা নিয়েছে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে তারা কোনো গোলের দেখা পায়নি। এরপর অতিরিক্ত সময়েও গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। গোলশূন্য থেকে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকার নামক ভাগ্য পরীক্ষায়।
অবশ্য সেখানেও শুরুতে চলে দারুণ লড়াই। শ্যুটআউটে ক্রোয়েশিয়া ও স্পেন প্রথম তিনটি শটের সবকটিই জালে জড়ায়। ক্রোয়েশিয়ার লোভরো মাজের চতুর্থ শটটি মিস করেন। সেটা রুখে দেন স্পেনের গোলরক্ষক ইউনাই সিমন।
অন্যদিকে স্পেনের আয়মেরিক লাপোর্তে পঞ্চম শটটি ক্রসবারে মেরে মিস করেন। তিনি বল জালে জড়াতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতে স্পেন। কিন্তু মিস করায় ৪-৪ এ সমতা আসে।
এরপর ক্রোশিয়ার ব্রুনো পেটকোভিচের নেওয়া ষষ্ঠ শটটিও রুখে দেন সিমন। তাতে স্পেনের ষষ্ঠ শটটি হয়ে দাঁড়ায় শিরোপা নির্ধারণী শট। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে পাঁচটি চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতা দানি কারবাহাল আসেন শট নিতে। ৩১ বছর বয়সি এই তারকা ঠাণ্ডা মাথায় শট নিয়ে বল জালে জড়িয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন। তাকে ঘিরে চারদিকে শুরু হয়ে যায় লাল উৎসবের আমেজ।