গোপালপুর প্রতিনিধি ঃ গোপালপুর উপজেলায় রাতে গরু চুরির হিড়িক পড়েছে। আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে চুরির ঘটনা। রাত জেগে পাহারা দিয়েও চুরিরোধ করা যাচ্ছেনা। প্রায় রাতেই চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে কৃষকরা আতঙ্কিত। চুরি ঠেকাতে গ্রামের মানুষ পালাক্রমে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। রাতে তারা টর্চ লাইট ও লাঠি নিয়ে মহল্লায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। চাতুটিয়া গুটেংরা পাড়ার মৃত তালেব আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামের গোয়ালে ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ১টি ষাড় ও ৯০হাজার টাকা মূল্যের ১টি গাভিন সোমবার রাতে গোয়াল থেকে চুরি হয়েছে। নবগ্রাম পূর্বপাড়ার মৃত শাহাদৎ হোসেনের ছেলে আমজাদ হোসেন আঞ্জুর একমাত্র সম্বল প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যের দু’টি গরু চুরি হওয়ার পর সে নিঃস্ব জীবনযাপন করছেন।
একই এলাকার মৃত রশিদ মাস্টারের ছেলে ওমর ফারুক লাভলুর লক্ষাধিক টাকা মূল্যের দু’টি গরু চুরি হয়েছে। গরু চুরির ঘটনায় কৃষক নিঃস্ব হয়ে গেলেও চুরি ঠেকাতে কিংবা চুরি হওয়া গরু উদ্ধার করতে পারছে না। উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই গরু চুরির ঘটনা আশংকাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এখন তারা অনেকেই নিঃস্ব। চুরি ঠেকাতে গ্রামের মানুষ রাত জেগে গরু পাহারা দিয়েও সুফল পাচ্ছেন না। এলাকাবাসী জানান, শীতের শুরু থেকে এসব এলাকায় গরু চোরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। তারা একজন চোরকেও ধরতে পারেননি। থানায় অভিযোগ করেও গরু উদ্ধার হয়নি। ফলে তারা নিজেরাই এখন রাত জাগতে শুরু করেছেন। সরেজমিন দেখা যায়, নবগ্রাম বাজার মোড়ের প্রধান সড়কে ৮-১০ জন টর্চ লাইট আর লাঠি নিয়ে চুরি ঠেকাতে সারারাত পালাক্রমে গ্রাম পাহারা দিচ্ছেন। গত এক মাস ধরে তাদের এমন পাহারা চলছে। আজ এক দল পাহারা দিচ্ছে আবার কাল অন্য দল।
এভাবেই তারা মাসব্যাপী পাহারাদারের কাজ করছেন। তারা বলেন, চোরের উৎপাতে আজ আমরা অতিষ্ঠ, অনেকে নিঃস্ব হয়েছে। এ কারণে সামাজিকভাবে বসে আমরা গরু পাহারা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিই। সে অনুযায়ী পালাক্রমে পাহারা চলছে। থানার ওসি মো. মোশারফ হোসেন জানান, গরু চুরি ঠেকাতে পুলিশ সারারাত উপজেলার অনাচকানাচ টহল দিচ্ছে। ইতিমধ্যে চুরির কাজে ব্যবহৃত যানবাহন ও চোরাই মালসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের একাধিক সদস্যকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।