টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী খোরশেদ আলম সর্বমহলে প্রশংসিত

Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার:
মোঃ খোরশেদ আলম। টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বাসীর উজ্জল প্রতিনিধি। এক সময়ের তুখোর ছাত্র নেতা। টাঙ্গাইলের বিভিন্ন আন্দোলোন সংগ্রামে পরীক্ষিত ছাত্র নেতাদের মধ্যে অন্যতম। টাঙ্গাইল অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন দাবি আদায়ের অন্দোলোনের রূপদানকারী ছাত্র নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রথম সারিতে ছিলেন এডভোকেট মোঃ খোরশেদ আলম। স্কুল জীবন থেকে ধর্ম নিরপেক্ষ রাজনীতির প্রতি দুর্বলতা। পরবর্তীতে ছাত্র জীবনের পুরোটা জুড়ে ছিল আওয়ামী ছাত্রলীগ রাজনীতির চর্চা। সরকারী এম এম আলী কলেজ এর ছাত্র অবস্থায় তার পরিচিতি ব্যাপক প্রসার ঘটে। ছাত্র জীবন থেকে একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছেন। সাম্য, সমাজিক ন্যায় বিচার এবং শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থার পক্ষে লড়ে যাচ্ছেন তিনি। সর্বপরি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বরারই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। এক সময়ের জনপ্রিয় নন্দিত ছাত্র নেতা খোরশেদ আলম। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বাস্তবায়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। গুনী এই নেতার জন্ম ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৩ সালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের নন্দবালা গ্রামে। বাস করেন টাঙ্গাইল পৌরসভার বেড়াডোমায়। তার পিতার নাম ইব্রাহিম তালুকদার। মাতা মৃত:দুলজান।

মাটি ও মানুষের প্রতি অঙ্গীকার বদ্ধ রাজনৈতিক নেতা খোরশেদ আলম। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার প্রতিটি মানুষকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ^াসী রাজনৈতিক শক্তিতে রূপান্তর ও সংগঠিত করার মধ্যে দিয়ে নিবেদিত প্রাণ কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেতা আব্দুল মান্নান সাহেবের কর্মী হিসেবে ১৯৭৯ সালে ছাত্রলীগে যোগদেন এবং ৩১ ডিসেম্বর জেলা ছাত্রলীগের সদ্যস নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রতাবর্তনের দিন ঢাকা বিমান বন্দরে বিপুল সংখ্যক কর্মীসহ অংশ গ্রহণ করেন। সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনেও তার ছিল সক্রিয় অংশ গ্রহণ। এজন্য পেয়েছেন রাজনৈতিক সফলতা। তার এ সফলতা এসেছে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যেমে তিলে তিলে। ২০১৪ সালে খোরশেদ আলম টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দেখান সাফল্য জয়ী জন প্রতিনিধিদের মধ্যে ব্যতিক্রম আচরণ। তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কখনও কে কোন রাজনৈতিক দলে সাথে সম্পৃক্ত সে বিবেচনা করেনি। দল মত নির্বিশেষে এলাকার মানুষের প্রতি সব সময় শ্রদ্ধাশীল। এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের আপদে বিপদে এগিয়ে আসা এবং মানুষের মঙ্গলে যে কোন কর্মকান্ডে তাকে পাওয়া যায় অগ্রণী সেনানী হিসেবে। কোন লোভ লালসা তাকে কখনও সাধারণ মানুষ থেকে বিছিন্ন করতে পারেনি।

শহীদ পরিবারের সদস্য গুনী নেতা খোরশেদ আলমের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ স্কুল জীবন থেকে। ব্যাপক ভাবে সম্পৃক্ত হন কলেজ জীবনে। সরকারী এম এম আলী কলেজে অধ্যায়ন কালে ১৯৮০ সালে কলেজ শাখা ছাত্রলীগেরে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। একই বৎসর কলেজ ছাত্র সংসদের এ জি এস নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে জি এস নির্বাচিত হন। তিনি টাঙ্গাইল জেলা ছাত্র লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে কাউন্সিলে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর পর ১৯৯৬ সালে কাউন্সিলে ২য় বার ও ২০০৩ সালে কাউন্সিলে ৩য় বারের জন্য টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে ১২ এপ্রিল কাউন্সিলে কাউন্সিলর ও ডেলিকেটরদের প্রত্যক্ষ ভোটে খোরশেদ আলম টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর কাউন্সিলে তিনি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হন। অদ্যবধি এ পদে বহাল থেকে সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্ব পালন কালে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগকে সু সংগঠিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

বলিষ্ট সাংগঠনিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী খোরশেদ আলম অতিরিক্ত পি পি, জজ কোর্ট টাঙ্গাইল, সাবেক বিশেষ পি পি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল, টাঙ্গাইল, সাবেক নির্বাচিত সদস্য টাঙ্গাইল জেলা এডভোকেট বার সমিতি, সহ-সভাপতি কেন্দ্রীয় গোরস্থান পরিচালনা কমিটি টাঙ্গাইল, সহ-সভাপতি কেন্দ্রীয় গোরস্থান মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি টাঙ্গাইল, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, বেড়াডোমা বাইতুন নূর জামে মসজিদ, সভাপতি, বাগিল কে কে উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র কল্যাণ পরিষদ, আজীবন সদস্য ও বর্তমান কার্যকরী সদস্য এবং প্রাক্তন ডেলিগেট বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, টাঙ্গাইল ইউনিট, সাবেক সভাপতি গভনিং বডি ধরের বাড়ী মুসলিম হাই স্কুল এন্ড কলেজ, সাবেক সভাপতি ব্যবস্থাপনা কমিটি বিনাফৈর উচ্চ বিদ্যালয়, সাবেক সভাপতি ব্যবস্থাপনা কমিটি ছোট বাসালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, সাবেক সদস্য ব্যবস্থাপনা কমিটি মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ মহাবিদ্যালয়, সাবেক সদস্য ব্যবস্থাপনা কমিটি লায়ন নজরুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজ, সাবেক সদস্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল সেবা ব্যবস্থাপনা কমিটি ও সাবেক সভাপতি কাতুলি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়।

২০১৪ সালে খোশেদ আলম টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে জনসেবায় আরো ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তিনি যখন যে অবস্থায় থাকেন সে অবস্থায় ছুটে যান জনগনের ডাকে। যে কারণে সব শ্রেণীর মানুষের কাছে তিনি নন্দিত ও জনপ্রিয়। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জার্মান, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, পর্তুগাল, চেকোস্লোভাকিয়া, নেদারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ভারত, থাইল্যান্ড ও সৌদি আরব ভ্রমন করেন। দেশ ভ্রমনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলাকে আত্ননির্ভরশীল মর্যাদাশীল একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করেন। জন সেবায় নিবেদিত খোরশেদ আলম সদর উপজেলার রাস্তাঘাট, মসজিদ, মন্দির উন্নয়নে আবদান রাখার পাশাপাশি মাদক বিরোধী প্রচার-প্রচারণা, যৌতুক প্রথা বন্ধে জনমত সৃষ্টি, সাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহার নিশ্চিত করন, পরিকল্পিত পরিবার গঠনে উদ্বুদ্ধ করণ সহ সে সময় সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে তার অবদান প্রশংসনীয়।

তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ইতি মধ্যে তিনি বিভিন্ন অঞ্চলে জনসংযোগ শুরু করেছেন। এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে তার পক্ষে জনমত সৃষ্টি ও বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সফলতা তুলে ধরছেন। জনসংযোগের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মত বিনিময় করছেন। খোরশেদ আলমের জনসংযোগে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে তার সর্মথীত নেতা কমীরা। তারা সংগঠিত হচ্ছেন খোরশেদ আলমের পক্ষে। অবিরাম চলছে চাষ্টল ও জনসমাগম স্থলে খোরশেদ আলমের পক্ষে প্রচারনা। তাদেও দৃষ্টিতে খোরশেদ আলম দল মত নির্বিশেষে সর্বমহলে গ্রহণয্যেগ ব্যক্তি। তার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহণকে ঘিরেই চলছে আলোচনা। তিনি যে এলাকায় যাচ্ছেন সে এলাকার শতশত মানুষ থাকে স্বাগত জানাতে ভীর জমাচ্ছেন। সব মিলিয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সর্ব মহলে প্রশংশিত খোরশেদ আলমের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে।