টাঙ্গাইলে বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী

Spread the love

অন্তু দাস হৃদয় :

টাঙ্গাইলে বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে নতুন নতুন রোগী। জেলায় এখন পর্যন্ত ২০ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

এ দিকে এডিস মশার আতঙ্কে পৌর এলাকার ড্রেনগুলো পরিষ্কার করার পাশাপাশি খানাখন্দ ও ডোবায় জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের দাবি জানিয়েছে পৌরবাসী।

টাঙ্গাইল পৌর শহরের রেজিস্ট্রি পাড়া এলাকার ব্যাবসায়ী বিদ্যুৎ হোসেন বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের এলাকায় মশক নিধনে কোনো প্রদক্ষেপ নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। এক বছর আগে আমাদের এলাকায় মশার ওষুধ স্প্রে করে ছিলো। ডেঙ্গু প্রতিরোধে পৌর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

কাগমারা এলাকা পল্লী চিকিৎসক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, করোনাকালীন মশক নিধনে স্প্রে করেছিলো পৌর কর্তৃপক্ষ। দিন দিন ডেঙ্গু আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের এলাকায় বর্তমান সময়ে মশক নিধনে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাবাসী ঝুঁকিতে রয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে, জুন মাসে ১৫ জন ও চলতি জুলাই মাসের ৯ দিনে পাঁচ জন আক্রান্ত হয়েছেন। রোববার (৯ জুলাই ২০২৩) পর্যন্ত শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে দুই জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সরেজমিনে, ডেঙ্গু রোগীর জন্য আলাদাভাবে মশারির ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকরা রোগীদের পরামর্শ দিচ্ছেন।

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা বলেন, হঠাৎ করে জ্বর আসলে চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু রোগ ধরা পড়ে। পরে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়া কলেজ শিক্ষার্থী রিফাত মিয়া বলেন, ঈদের ছুটিতে আমি ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে নাগরপুর উপজেলার মোকনাতে আছি। আসার পর আমার জ্বর অনুভব হয়। এর মধ্যে বাবা ও ভাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। আমি ২ জুলাই শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হই। পরে চিকিৎসক টেস্ট করে আমার ডেঙ্গু শনাক্ত করে। বর্তমানে আমি সুস্থ আছি।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খন্দকার সাদেকুর রহমান বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। বর্তমানে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীই ঢাকায় বসবাস করছিলেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি মানুষের ঘরবাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন এবং জমানো পানি পরিষ্কার রাখতে হবে।

যাতে করে ডেঙ্গু বিস্তার করতে না পারে। প্রয়োজেন রাতে ঘুমানোর সময় কয়েল কিংবা মশারি টাঙ্গিয়ে ঘুমাতে হবে।

টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর বলেন, মশক নিধনের প্রচেষ্টা আমাদের অব্যাহত আছে। এ ছাড়াও এডিস মশার লার্ভা খোঁজার জন্য আলাদা টিম গঠন করা হয়েছে।