টাঙ্গাইলে হেযবুত তাওহীদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার ঃ টাঙ্গাইল জেলা শাখা হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে হত্যাকান্ড, জ্বালাও-পোড়াও ও লুটপাটের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে অবহিতকরণ’ শীর্ষক মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় নিরালা মোড়ে অবস্থিত হোটেল পিয়াসীর দ্বিতীয় তলায় এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইলের মধুপুরে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাটের পাঁয়তারাসহ বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোকপাত করেন হেযবুত তওহীদের নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে হেযবুত তওহীদের মধুপুর উপজেলার সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন বলেন, হেযবুত তওহীদ একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন। আন্দোলনটি ১৯৯৫ সালে এই টাঙ্গাইলেরই ঐতিহ্যবাহী পতœী পরিবারের সন্তান জনাব মোহাম্মদ বায়োজীদ খান পন্নী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। যার অসামান্য ব্যক্তিত্ব, সততা, নিষ্ঠা, ওয়াদা রক্ষা, নিঃস্বার্থ জনসেবা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থানের কারণে তিনি সবার শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। তিনি অত্র এলাকার শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ ইত্যাদি খাতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধন করেছেন। ১৯৬৩ সনে তিনি পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য অর্থাৎ এমপি নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। এ সময় তিনি করটিয়ায় হায়দার আলী রেডক্রস ম্যাটার্নিটি এ্যান্ড চাইল্ড ওয়েলফেয়ার হসপিটাল প্রতিষ্ঠা করেন।

এছাড়াও ১৯৯৮ সনে সা’দত আলী খান পন্নী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন পতিষ্ঠা করেন এছাড়া তিনি নজরুল একাডেমির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং করটিয়ার ঐতিহ্যবাহী সাদাত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ আরো অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় পতœী পরিবারের অংশগ্রহণ রয়েছে। আমাদের এই মধুপুর উপজেলার পার্শ্ববর্তী উপজেলা ধনবাড়ীর জমিদার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী হেযবুত তৌহিদের প্রতিষ্ঠাতা এমামুজ্জামান জনাব মো. রামাজান খান। পরীর মায়ের নানা। অত্র এলাকার উন্নতিতে যার অনন্য অবদান রয়েছে। মধুপুরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, উগ্রবাদী ধর্মান্ধ গোষ্ঠীটি বর্তমানে মধুপুরে উন্মাদনা সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

সেখানে অবস্থানরত হেযবুত তওহীদের সদস্যদের তারা ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের পাঁয়তারা করছে। তারা হুমকি দিচ্ছে, হেযবুত তওহীদের সদস্যরা রায়ায় বের হলে তাদের উপর হামলা করবে। মারধর করে এলাকাছাড়া করবে। বাড়িঘর ভাংচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দিবে। উগ্রবাদি গোষ্ঠীর প্রকাশ এরূপ হুমকির ফলে টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকার হেযবুত তওহীদের সদস্যদের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

তারা যেকোন মুহূর্তে হামলার শিকার হতে পারেন বলে আশক্ষা করছেন। এমতাবস্থায় গত ২৬ নভেম্বর টাঙ্গাইলের মধুপুর থানায় হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবুও তারা আইনের তোয়াক্কা না করে গত শুক্রবার আনুমানিক বিকাল তিনটার দিকে ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। আমাদের মধুপুর উপজেলার সদস্য জাকির হোসেনের বাড়িতে গিয়ে তাকে রাতের মধ্যে এলাকা ছাড়ার আল্টিমেটাম দেয় অন্যথায় প্রাণঘাতি হামলা করার হুমকি দেয়। “বাংলাদেশ সংবিধানে রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিককে আইন মান্য করা সাপেক্ষে সংগঠন করা ও মত প্রকাশের অধিকারের পাশাপাশি সম্পত্তি রক্ষার অধিকার, আক্রান্ত হলে আত্মরক্ষার অধিকার দেওয়া হয়েছে।

বিগত ২৭ বছরে রাষ্ট্রের একটিও আইন ভঙ্গ করার রেকর্ড হেযবুত তওহীদের নেই।” মধুপুরে বসবাসরত হিজবুত তওহীদের সকল সদস্যদের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় হেযবুত তাওহীদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বাপ্পা,ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলার সভাপতি হাবিবুর রহমান প্রমূখ