আবু নাসের :
রাষ্ট্রপিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মাহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে চারটি মূলস্তম্ভের উপর বাংলাদেশের মানুষের চেতনা নির্ভর অসম্প্রদায়িক, ইহজাগতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন সংবিধান প্রণয়ন করেন।
স্বাধীনতাকে সার্বিক জীবনবোধের আলোকে ফলপ্রসূ করার লক্ষে একদল উচ্চশিক্ষিত, স্ব স্ব ক্ষেত্রে আলোকিত সূর্য-সন্তানদের দিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিস (বিআইডিএস) প্রতিষ্ঠা করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে জৈব রাজনৈতিক রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে নিতে শুরু করেন।
কিন্তু দুঃখের বিষয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধীরা স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রতিক্রিয়াশীলতার অন্ধকারে দেশকে নিমজ্জিত করে।
দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করেন; পরবর্তিতে ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারে বাঙলা ও বাঙালির আর্থসামাজিক মুক্তির জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মসূচী ঘোষণা করেন এবং ঐতিহাসিক বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহন করেন এখন পর্যন্ত তা পালন করে আসছেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশের মূলস্তম্ভ ছিল চারটি- যথা- ১. মানবসম্পদ উন্নয়ন ২. দেশব্যাপী ইন্টারনেটের সংযোগ দেয়া ৩. ই-প্রশাসন ৪. তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর শিল্পখাত গড়ে তোলা।
যথাযথ ভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করার কর্মসুচী ঘোষণা করেন। স্মার্ট বাংলাদের মূলস্তম্ভ চারটি, যথা- ১.স্মার্ট সিটিজেন ২. স্মার্ট ইকোনমি ৩. স্মাট গভর্নমেন্ট ৪. স্মার্ট সোসাইটি চলবে।
যুগধারা ডট টিভি/অন্তু