এ.কে.এম রাজু আহমেদ:
প্রবাসী বাংলাদেশি কর্তৃক পরিচালিত “স্পন্দনবি SpaandanB” গ্রামীণ এলাকার মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশে বিশেষ কার্যক্রম “রুরাল ট্যালেন্ট এডভান্সমেন্ট প্রোগ্রাম” বাস্তবায়ন ২০০৩ সাল থেকে। এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় সংস্থা কর্তৃক টাংগাইলের দেলদুয়ারে “স্পন্দনবি মেধাবৃত্তি- ২০২৪” ০২ নভেম্বর, শনিবার সকাল ১০ টায় সৈয়দ আব্দুল জব্বার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার ২৫ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে প্রতি ক্লাসের ০৫ এবং প্রতি বিদ্যালয় থেকে ২৫ জন করে মোট ৬২৫ জন শিক্ষার্থী এ মেধা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষার্থীদের মনে ব্যাপক উদ্দীপনা এবং উৎসাহ লক্ষ করা গেছে। দীর্ঘ ২ যুগ ধরে পরিচালিত এ কার্যক্রমে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, এবং অভিভাবকগণের মধ্যে আগ্রহের কোন কমতি নেই। বরং যত দিন যাচ্ছে সবার মধ্যে এর প্রতি আকর্ষন বেড়েছে।
স্পন্দনবি বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। যার কারণে সবার। মধ্যে স্পন্দনবি বিশেষ এক আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এ কার্যক্রমে জাড়িত সংস্থার কর্মীরা নিবেদিত এবং সংশ্লিষ্ট সবাই এ কার্যক্রমের সুফল জেনেছেন। শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকগণ নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করেন এ কার্যক্রম দেলদুয়ার উপজেলায় পরিচালিত হাওয়ায় তারা স্পন্দনবি’র প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এ কার্যক্রম যেন চলমান থাকে। এ কার্যক্রম বাংলাদেশের সকল উপজেলায় চালু করা দরকার বলে মতামত দেন।
স্পন্দনবি মেধাবৃত্তি-২০২৪ এ সংস্থার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ও পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক, মো. মাহমুদুল হাসান, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, মো: রাজিবুল ইসলাম, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার, মো: সাজেদুল ইসলাম, প্রোগ্রাম অফিসার, আব্দুল জাব্বার, প্রোগ্রাম মনিটর। “স্পন্দনবি মেধাবৃত্তি-২০২৪” স্থানীয় পর্যায়ের সার্বিক কার্যক্রম সমন্ময় করেন মো. রাশেদ সরকার, কোর্স ইনিস্ট্রাক্টর, স্পন্দনবি ইন্সটিটিউট এবং স্পন্দনবি মেধাবৃত্তি-২০২৪ এর স্থানীয় সমন্ময়ক। স্থানীয় সেচ্ছাসেবীগণও সহায়তা করেন।
স্পন্দনবি মেধাবৃত্তি-২০২৪ কার্যক্রমের প্রধান আকর্ষন আজকের ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী, উপজেলার ২৫ টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহোদয়গণ ও ২৫টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি/পরিদর্শকগণ, সম্মানীত অভিভাবকগণ।
দেলদুয়ার উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগীতায় এ কার্যক্রম দেলদুয়ার উপজেলায় খুবই সহজে এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রতি বছরের মত এ বছরও পরীক্ষার ভেন্যুর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন মো. মাসুদুল হাসান, প্রধান শিক্ষক, সৈয়দ আব্দুল জব্বার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।
স্পন্দনবি’র সবার প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। সকাল ১০ টায় পরীক্ষা শুরু এবং ১২:৩০ টায় শেষ হয়। শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই করতে ৬০ টি প্রশ্ন দেয়া হয় এবং এ ২:৩০ ঘন্টায় শেষ করতে হয়। বেশির ভাগই অংকের প্রশ্ন, সাথে ইংরেজি, বাংলা, বিজ্ঞান এবং সাধারণ বিষয়কও কিছু প্রশ্ন থেকে। এ প্রশ্নগুলো পাঠ্যবই এবং মিল রেখে বাহির থেকেও দেয়া হয়। মুলত প্রশ্নগুলো শিক্ষার্থীদের “আই কিউ” কেমন তাই যাচাই করার চেষ্টা করা হয়। অংশগ্রহণকারী ৬০০ শতাধিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরীক্ষায় বেশি স্কোরধারী ৫০ জনের তালিকা চুড়ান্ত প্রকাশ করে এককালীন বৃত্তি দেয়া হবে। অবশ্য বিদ্যালয় পর্যায় থেকেও প্রতি শ্রেণীর ২ জন করে এবং স্কুল পর্যায়ে ১০ জন করে ২৫০ কে সাধারণ গ্রেডেও এককালীন বৃত্তি প্রধান করা হয়।