নতুন প্রজন্মের কাছে নিজস্ব কৃষ্টি সংস্কৃতি মেলে ধরতে-মধুপুর গড়ে গারো সংস্কৃতির আবিমা ফেস্টিভ্যাল

Spread the love

হাবিবুর রহমান:
“শেকড়ের টানে প্রজন্মের মেল বন্ধন” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে গারো সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও প্রথা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে টাঙ্গাইলের মধুপুরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো আবিমা ফেস্টিভ্যাল। প্রতি বছর শীতের শুরুতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। লাল মাটির শাল বন অধূষিত মধুপুর গড় অঞ্চল কে স্থানীয় গারো সম্প্রদায়ের লোকেরা আবিমা হিসেবে অভিহিত করে থাকে। জুম চাষের সময় অধিক ফসল উৎপাদন হতো। শস্য ফলত অন্য সব অঞ্চলের চেয়ে অধিক। গড় অঞ্চলের মাটির উর্বরতা শক্তি বেশি থাকার ক্রাণে মধুপুর অঞ্চল কে তারা আবিমা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আবিমা অর্থ মাটির মা। তাদের প্রিয় আবিমা অঞ্চলের আগামী প্রজন্মেও কাছে তাদের আদি কৃষ্টি সংস্কৃতি তোলে ধরতে আয়োজন করা হয় এ আবিমা ফেস্টিভ্যাল। গত শুক্রবার উপজেলার গারো পল্লীর সাইনামারি গ্রামে অনষ্ঠিত এ ফেস্টিভ্যালে দেশি-বিদেশি অতিথি ছাড়াও ধর্ম-বর্ণ নির্বশেষে হাজার হাজার লোকের সমাগম হয়। নাচ-গানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।

নতুন প্রজন্মের কাছে গারো স¤প্রদায়ের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির এ মেল বন্ধনে মধুপুর গড়ের সাইনামারি আবিমা ফেস্টিভ্যাল প্রঙ্গণ যেন মিলন মেলায় পরিনত হয়। শীতের এ অনুষ্ঠানে মধুপুর ছাড়া বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গারো স¤প্রদায়ের লোকজন স্বপরিবারে উপস্থিত হয়ে আনন্দ উপভোগ করেন। নতুন প্রজন্ম মেতে আনন্দে। নাচ-গানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। মন্ত্র, সংগীত আর নৃত্যে উঠে আসে গারোদের নিজস্ব সংস্কৃতি। রাত ভর চলে এ অনুষ্ঠান। যে যেভাবে পারেন আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। দেশি-বিদেশি অতিথি ছাড়াও ধর্ম-বর্ণ নির্বশেষে হাজার হাজার লোকের সমাগম হয় অনুষ্ঠানে।

সকালে অসূচি দুর করার জন্য প্রার্থনা পূজায় শুরু করা হয় অনুষ্ঠান। পরে বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা বের হয়। সকাল থেকে রাতভর চলে নানা সাংস্কৃতিক পর্ব। তাদের নিজস্ব গারো মান্দি ভাষায় পরিবেশিত হয় নৃত্য আর গান । জমে উঠে পুরো আয়োজন। শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সের মান্দিরা মেতে উঠে এ আবিমা ফেস্টিভ্যালে। গান আর নৃত্যের ফাঁকে আলোচনা সভায় উদযাপন কমিটির সভাপতি বিমল বেনজামিন নকরেকের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব সেবাস্টিন রেমা, গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব হেমন্ত হেনরি কুবি, ডিআইজি প্রলয় চিসিম, আ’লীগের কেন্দ্রীয় নেতা রেমন্ড আরেং, লেখক বাঁধন আরেং,জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক, ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক, বাগাছাস নেতা জন যেত্রা, জিএসএফ নেতা লিয়াং রিছিল প্রমুখ।