কালিহাতী প্রতিনিধি ঃ অদম্য ইচ্ছাশক্তি,কঠোর শ্রম ও অধ্যবসায় থাকলে কোন প্রতিবন্ধকতাই ধমিয়ে রাখতে পারেনা তার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছেন হারনা মানা আসিফ। জন্ম থেকে হাত দুটো অকেজো। পায়েও রয়েছে সমস্যা। হাত দিয়ে কোন কাজই করতে পারেন না আসিফ, তাতে কি? পা দিয়ে লিখেই এসএসসি ২০২৩ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। আসিফ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বীর পাকুটিয়া গ্রামের তাঁত শ্রমিক আরজু মিয়ার পুত্র। কঠিন মনোবল,অদম্য উৎসাহ, প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর একনিষ্ঠতা,তার কাছে প্রতিবন্ধিতা কোনো বাঁধাই হতে পারেনি। কেউ পারে না তাকে দমিয়ে রাখতে। লেখাপড়া শেষ করে আসিফ মানুষের মতো যোগ্য মানুষ হতে চায়। উপজেলার বল্লা করোনেশন স্কুল এন্ড কলেজে এসএসসি ২০২৩ সালে এস, এস, সি নির্বচনী (টেষ্ট)পরীক্ষায় আসিফ পা দিয়ে লিখে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করছেন। বল্লা করোনেশন স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাজ্জাত হোসেন জানান, আসিফ জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার দুটো হাতই অকেজো। দুই ভাই বোনের মধ্যে ছোট বোন ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ে। আসিফ ব্যবসা শিক্ষা শাখায় এসএসসি ২০২৩ সালের প্রস্তুতি (টেষ্ট)পরীক্ষা দিচ্ছে পা দিয়ে লিখে। ইতোপূর্বে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েও সাফল্য অর্জন করেছে আসিফ। তাঁত শ্রমিক আরজু মিয়ার অভাবের সংসারে দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে আসিফ বড়। লেখাপড়ার প্রতি অদম্য ইচ্ছা থেকে তার স্বপ্নপূরণে প্রাণপণ সংগ্রাম করে চলেছে। তিনি আরো বলেন, আসিফের মধ্যে লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ ও ইচ্ছা শক্তি লক্ষ্য করছি দীর্ঘদিন থেকে। সাজ্জান হোনেন বলেন, আসিফের লেখা পড়ার সমস্ত খরচ স্কুল থেকেই বহন করা হচ্ছে।
বিদ্যালয় প্রধান সন্তানের স্নেহে আসিফের লেখাপড়াসহ তার সকল প্রয়োজনীয়তা পুরন করে থাকেন। তিনি আশাপ্রকাশ করে দৃড় প্রত্যয়ে বলেন, আসিফ তার স্বপ্ন পুরন করে, তার পিতামাতা, বিদ্যালয়ের মুখ উজ্জল করবেই।