নাগরপুর প্রতিনিধি ঃ
আজ থেকে শুরু বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি যে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সেই যুদ্ধের চূড়ান্ত ফল আসে এই মাসে। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, ৩০ লাখ শহীদের প্রাণ আর ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে পাওয়া আমাদের স্বাধীনতা।বিজয়ের মাসের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানালেন নাগরপুর উপজেলা আ’লীগের সম্মানিত সভাপতি আলহাজ্ব জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম এবং উপজেলা আ’লীগের বিপ্লবী সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক মো: কুদরত আলী। নেত্বদ্বয় এক যৌথ বিবৃতিতে গণমাধ্যমকে জানান-বাঙালি জাতির ইতিহাসে অনন্য গৌরবময় ডিসেম্বরে বিজয় অর্জনের পেছনে রয়েছে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত। পশ্চিম পকিস্তানের সামরিক জান্তাদের শোষণ-বঞ্চনা এবং বিমাতাসুলভ আচরণের শিকার হয়ে আসছিল বাংলার মানুষ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন, স্বাধীনতা অর্জন ছাড়া বাঙালি জাতির ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও বঞ্চনার অবসান হবে না। তাই তিনি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে দীপ্তকণ্ঠে ঘোষণা দেন বাংলার স্বাধীনতার।নেত্বদ্বয় আরও বলেন,মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ঠিক দুদিন আগে ১৪ ডিসেম্বর দেশের ইতিহাসে অত্যন্ত বেদনাবিধুর একটি দিন।
জাতির বিজয় যখন সুনিশ্চিত তখনই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের রাতের আঁধারে নির্মমভাবে হত্যা করে। দেশকে মেধাশূন্য করার অপচেষ্টা হিসেবে বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনা হাতে নেয় পাকবাহিনী। এই হত্যাকাণ্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম এক বর্বর ঘটনা যা বিশ্বব্যাপী শান্তিকামী মানুষকে স্তম্ভিত করেছিল।
এ দিবসটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পালন করে বাংলাদেশ।উল্লেখ্য,বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ও নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় ১৬ ডিসেম্বর,১৯৭১।এই দিনে বিকেলে পাকিস্তানি বাহিনী রেসকোর্স ময়দানে মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে অবশেষে জাতি পায় স্বাধীন রাষ্ট্র, নিজস্ব পতাকা ও জাতীয় সংগীত। বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম ত্যাগ ও আপোষহীন নেতৃত্বে পৃথিবীর মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।