যুগধারা ডেস্ক :
বিশ্বব্যাপী করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে প্রায় পৌনে চারশো। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৮ লাখ ৩১ হাজার ৯৩৪ জনে। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ১১৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ২৮ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৩৯ লাখ ৯৪ হাজার ৮৩৭ জনে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। অন্যদিকে প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপান। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে পোল্যান্ড, ফিলিপাইন, যুক্তরাষ্ট্র ও পেরু।
রোববার সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ৯৪৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৬ জন। এছাড়া, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ২৬ লাখ ৪৬ হাজার ৫৩৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ২৮১ জনের। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ৬৯৭ জন এবং মারা গেছেন ৫ জন। এছাড়া, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৮ লাখ ২৯ হাজার ৮২৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৪ হাজার ২৭০ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭১৯ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৬২ লাখ ২২ হাজার ২০৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৮ জন মারা গেছেন। একইসময়ে পোল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৪৩ জন এবং মারা গেছেন ১৫ জন।
জাপানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৭৮ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭৩ হাজার ৯৩৯ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩০ জন এবং মারা গেছেন ১৩ জন। ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৫৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৯৮ লাখ ২৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৭৮ জন মারা গেছেন। একইসময়ে পেরুতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫৯ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে, একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
যুগধারা ডট টিভি/অন্তু