কোরবান আলী তালুকদার, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) : ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করার পরপরই টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অধিকাংশ জনপ্রতিনিধিরা আত্মগোপনে চলে গেছেন। যার ফলে ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সেবা। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জনগণ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার অর্জুনা, ফলদা, গোবিন্দাসী, অলোয়া ও নিকরাইল ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যানগণ গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করার পর থেকেই তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে আসা বন্ধ করেন। এতে জনগণের প্রয়োজনীয় কাজ করতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আওয়ামীপন্থি চেয়ারম্যানদের অনেকেই ক্ষমতার পালাবদলের কারণে নিজেদের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের রোষাণল থেকে বাঁচতে ইউনিয়ন পরিষদে আসছেন না। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন সেবাগ্রহীতারা বিভিন্ন সনদের আবেদন করেও চেয়ারম্যানদের স্বাক্ষর না থাকায় প্রয়োজনীয় সনদ পাচ্ছেন না। এতে করে জরুরি প্রয়োজনীয় অফিসিয়াল কাজ করতে পারছেন না সেবাগ্রহীতারা।
স্থানীয়রা জানান, নিজেদের বিভিন্ন অপকর্ম ঢাকতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যানরা অফিসে না এসে গা ঢাকা দিয়েছেন। স্বাক্ষর নিতে চেয়ারম্যানের কার্যালয়, বাড়ি কিংবা মোবাইল ফোনে খোঁজ করে পাওয়া যাচ্ছে না। মৃত্যুসনদ, ওয়ারিশিয়ান সনদ, নাগরিকত্ব সনদপত্র, ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তারা আরো জানান, আওয়ামী লীগ সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও রাজনৈতিক দলের বিষয়টি যুক্ত করেছেন। যার বিরূপ প্রভাবের সম্মুখীন এখন হয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। বিশেষ করে মেয়র ও চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যানরাও নিজেদের রক্ষায় আত্মগোপনে গেছেন। রাজনৈতিক দলের বিপর্যয়ের কারণে তারা পালিয়ে যাওয়ায় এখন নাগরিকরা রয়েছে ভোগান্তিতে। অপরদিকে গাবসারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম শাপলা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় তিনি অফিস করছেন নিয়মিত।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বিষয়ে সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।