মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তির সুবর্ণ জয়ন্তীতে বসেছিল মিলন মেলা

Spread the love

হাবিবুর রহমান/নাজিবুল বাশার:
টাঙ্গাইলের মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তির সুবর্ণ জয়ন্তীতে বসে ছিল মিলন মেলা। সতীর্থরা সকাল থেকে কুয়াশা ভেজা উপেক্ষা করে জমায়েত হতে থাকে সুবর্ণ জয়ন্তীতে । সকাল ১০ টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ কানায় কানায় ভরে উঠে। পদচারণায় মুখরিত হয়ে তাদের প্রাণের প্রিয় বিদ্যাপিঠ। কৈশোরের সতীর্থদের পেয়ে সবাই যেন ফিরে আসে স্কুল জীবনে। ছেলে মেয়ে বাবা মা সবাই ছিল আজ সতীর্থ। কেক কাটা,ছবি তোলা, গান, র‌্যালি, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজন চলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। প্রিয় শিক্ষকদের সম্মাননা ও অতিথিদের ক্রেস্ট প্রদানের মধ্যে দিয়ে প্রাণবন্ত হয়ে উঠে পুরো সুবর্ণ জয়ন্তী। শহীদ স্মৃতি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ও সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি যদি দলীয় ভাবে নির্বাচনে না আসে, এমন হতে পারে দলের একটা অংশ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে বা অন্য অন্য দল অংশ গ্রহণ করবে। দেশের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সংবিধান অনুযায়ী সময় মতো অবশ্যই অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে কে আসলো আর কে আসলো না তাতে কিছুই যায় আসে না। আমরা শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত আপ্রাণ চেষ্টা করবো বিএনপি যাতে নির্বাচনে আসে। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনারা অপেক্ষা করেন এর জবাব বিএনপির কাছে থেকেই পাবেন।
শনিবার (৭ জানুয়ারি ) সকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করেছিল। সেই নির্বাচনকেও বিএনপি সহজ ভাবে নেই নাই। বিএনপি কোনো দিনও বলে নাই নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। গত ১৪ বছর যাবত একি রের্কড বিএনপি বার বার বাজাচ্ছে। যে বাংলাদেশে নিরপেক্ষ তত্বাবোধক সরকার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে না। পৃথিবীর কোনো দেশে তত্বাবোধক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় না।একমাত্র আমাদের দেখে এমন সিস্টেম শুরু করেছিল পাকিস্তান, এখন আজকে এরকম সিস্টেমে নির্বাচন দাবি করছে বিএনপি জামাত এবং তাদের প্রভু এই পাকিস্তানই ।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানে সুস্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে মধুপুর শহীদ স্মৃতি বিদ্যালয়ের সভাপতি আলহাজ মো. নুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শরফুদ্দীন আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মো. ছারোয়ার আলম খান আবু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি খন্দকার শফিউদ্দিন মনি, মধুপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ মো. সিদ্দিক হোসেন খান, এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব আব্দুল আলীম, সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও লোকমান হোসেন প্রমুখ।
বিদ্যালয় প্রাঙ্গণকে সাজানো হয়েছে বর্ণীল সাজে। রাতে চলে মনোঞ্জ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ বজলুল রশীদ খান চুন্নু।