মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জন্য দোয়া করায় ইমামতি যায় খতিবের 

Spread the love
কোরবান আলী তালুকদার, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) : মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তার ফেসবুকে পোস্ট ও মসজিদে নামাজের পর তার জন্য দোয়া করায় মসজিদের ইমামতি থেকে মৌখিক ভাবে অব্যাহতি ও মসজিদ থেকে বের করে দেয়া হয় খতিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনকে। তাকে এখনো চাকরিতে বহাল না করায় মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে তাকে দ্রুত খতিবের দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান মসজিদ কমিটির সভাপতি।
জানা যায়, মুফতি মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার বিবিএ পাথাইলকান্দি জামে মসজিদের খতিব। সাড়ে তিন বছর আগে যোগদানের পর থেকে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। টিভি চ্যানেলগুলোতে ইসলামী আলোচনা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামী সম্মেলন করায় ইসলাম স্কলার হিসেবে সারাদেশেই পরিচিতি মুখ তিনি।
গত বছরের ১৪ আগস্ট মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর খবর ফেসবুকে পোস্ট ও পরে জুম্মার নামাজের পর মাগফেরাত কামনায় দোয়া করেন এই খতিব। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনকে খতিবের দায়িত্ব থেকে তাৎক্ষণিক সরিয়ে দেন মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা ছোট আব্দুল হাই। মসজিদ এলাকায় আর কখনও আসলে দেখে নেয়ার হুমকিও দেন তিনি।
স্থানীয় মুসল্লীরা বলেন- মুফতি সাখাওয়াত হোসেন একজন ভালো আলেম ও ভালো মনের মানুষ। মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর খবর ফেসবুকে পোস্ট ও তার জন্য দোয়া করায় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাকে মসজিদ থেকে বের করে দেয়। তার উপর অন্যায় করা হয়েছে। কিন্তু খতিব সাহেবকে এখনো লিখিতভাবে অবহিত দেয়া হয়নি। মসজিদ কমিটির কাছে দাবি তাকে যেন আবার খতিবের দায়িত্বে বহাল করা হয়।
খতিব মুফতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন- গত বছরের ১৪ আগস্ট আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর খবর ফেসবুকে পোস্ট করি। পরে মুসল্লিদের অনুরোধে জুম্মার নামাজের পর তার মাগফেরাত কামনায় দোয়া পরিচালনা করি। মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর খবর ফেসবুকে পোস্ট ও তারজন্য দোয়া করায় মসজিদ কমিটি সম্পাদক আমাকে মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করতে নিষেধ করেন এবং মসজিদ থেকে বের করে দেন।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মহির উদ্দিন তালুকদার বলেন- কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা ছোট আব্দুল হাই আমাদের মসজিদের খতিব মুফতি সাখাওয়াত হোসেনের সাথে  যে কাজ করেছেন তা ঠিক হয়নি। এক পর্যায়ে তার উপর জুলুম করা হয়েছে। তাকে পুনরায় খতিবের দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান তিনি।