আন্তর্জাতিক ডেস্ক- আসন্ন ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এখন গোটা বিশ্ব। এই নির্বাচণের ওপর নির্ভর করছে আগামী বিশ্বের ভবিষ্যৎ। নির্বাচনী প্রচারণাতেও বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে সাম্প্রতিক ইস্যু। বিশেষ করে গাজাসহ মধ্যপ্রাচ্য উত্তেজনা। যেই ইস্যুতেই দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন অবস্থান করছেন দুই মেরুতে।
শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারণায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস গাজা যুদ্ধের কারণে ক্ষুব্ধ লোকজনকে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের গুলি করার বিষয়ে মন্তব্য করে আগামীতে গাজা ইস্যুতে আরও কঠোর হওয়ার কথা জানান। খবর এএফপির।
আগামীকালের (৫ নভেম্বর) ভোটগ্রহণকে সামনে রেখে দুই প্রার্থীই এখন ভোটারদের মন জয় করতে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য বা সুইং স্টেটগুলোকে ঝটিকা সফরে রয়েছেন। পেনসিলভেনিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা ও জর্জিয়ার নির্বাচনি সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে তিনি ‘ভূমিধস বিজয়ের’ দিকে এগিয়ে চলেছেন। অন্যদিকে মিশিগানে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমরা গতি ধরতে পেরেছি, ফলাফল আমাদের পক্ষেই আছে।’
২০২৪ সালের নির্বাচনি দৌড় হতে যাচ্ছে মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে জমজমাট। গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোতে দুই প্রার্থীর অবস্থান সমানে সমান। এ পর্যন্ত সাত কোটি ৭৬ লাখ ভোটার তাদের আগাম ভোট প্রদান করেছেন যা ২০২০ সালের মোট ভোটের প্রায় অর্ধেক।
মিশিগানে ৬০ বছর বয়সী কমলা হ্যারিস সেখানকার প্রায় দুই লাখ আরব-আমেরিকান ভোটারের সমর্থন হারানোর ঝুঁকির মধ্যেই নির্বাচনি প্রচারণা চালান। গাজা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কারণেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সেখানকার সমাবেশে আরব-আমেরিকান নেতাদের উপস্থিতির কথা মাথায় রেখে কমলা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে আমি গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে সবকিছু করব। আমি বলতে চাই এই বছরটা খুবই কঠিন। গাজায় মৃত্যু ও ধ্বংসের যে চিত্র এবং লেবাননে বেসামরিক লোকজন হতাহতের সংখ্যা ও বাস্তুচ্যুতি যে পরিমাণ তা নিঃসন্দেহে ভয়াবহ।’
তবে সমাবেশে কমলার পরের কথাগুলো ছিল মানুষকে ভোট দিতে ঘর থেকে বের হতে ও ভোটকেন্দ্রে যেতে উদ্ধুদ্ধ করার লক্ষ্যে। তিনি বলেন, ‘কাজটি শেষ করতে আমাদের হাতে আর মাত্র দুদিন সময় আছে। তাই আগামী দুটি দিন আমরা এমনভাবে কাটাই যেন আমাদের কোনো অনুশোচনা না হয়।’
অন্যদিকে ৭৮ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ইঙ্গিত দেন যে তিনি পরাজয় মেনে নেবেন না। কথাপ্রসঙ্গে তিনি এটাও বলেন কোনো সাংবাদিক যদি গুলিবিদ্ধ হয় তবে তার কিছু যাবে আসবে না। ডেমোক্র্যাটদের পিশাচ হিসেবে অভিহিত করে ট্রাম্প বলেন, যদি তার সমর্থকরা ভোট দিতে না যায় তবে তারা হবে সবচেয়ে বড় বোকা।
কিনস্টনে আরেক সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘মঙ্গলবার আমরা ভূমিধস বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি এবং এটা হবে যে কোনো সময়ের চেয়ে বিশাল ব্যবধানের।’