যুগধারা ডেস্ক :
আজ পবিত্র শবে বরাত। ইবাদত-বন্দেগিতে মহিমান্বিত এ রাতটি পার করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। গুনাহ মাফের আশায় ধর্ণা দেবেন মহান আল্লাহর দরবারে। প্রিয়জনের কবর জিয়ারত করবেন অনেকে। দেশজুড়ে মসজিদে মসজিদে আয়োজন করা হয়েছে ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলের।
হিজরি সনের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে বলা হয় শবে বরাত। অনেকে একে ভাগ্য রজনী মনে করেন। তবে, মূলত এটি আল্লাহর ক্ষমা লাভের সময়।
হাদিসে আছে, হিংসুক ও মুশরিক ছাড়া এই রাতে সবাইকে মাফ করে দেন মহান আল্লাহ তায়ালা। শবে বরাতে কবর জিয়ারত করতেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
মহিমান্বিত এই রাতে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকির-আযকারে মশগুল থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কাদির বলেন, যদি কেউ শেরেক করেন তাহলে তিনি নিশ্চয়ই আজকের এই রাতে কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হবেন এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। আরেক শ্রেণির মানুষ হলো যারা বিদ্বেষ পোষণ করেন। অন্যের ভালো দেখতে চান না। সবসময় হিংসায় জ্বলে-পুড়ে মরেন।
শুধু গুনাফ মাফই নয়, রমজানের আগমনী বার্তা নিয়েও আসে পবিত্র এই রজনী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কাদির বলেন, মাহে রমজানের প্রস্তুতিই হলো যে, কোরআন তিলাওয়াতে বেশি অভ্যস্ত হওয়া। তওবা করা এবং দান সদকাহ বেশি করা। কারণ এই কাজগুলিই কিন্তু রমজানে করতে হবে।
শবে বরাত উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান রয়েছে।
যুগধারা ডট টিভি/অন্তু দাস হৃদয়