সখীপুর প্রতিনিধি :
পাঁচ মাস আগে মুঠোফোনের মাধ্যমে সৌদি আরব প্রবাসী শহীদুল ইসলামের (২২) সঙ্গে প্রতিবেশী নার্গিস আক্তারের (১৭) বাল্য বিবাহ হয়। বিবাহের পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও প্রবাসী শহীদুল এখনো দেশে ফেরেননি। যে কারণে স্বামীর সঙ্গে দেখাও হয়নি নার্গিসের। তবে প্রতিবেশী হওয়ার সুবাধে শ্বশুর বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল নার্গিসের।
শুক্রবার (৩ মার্চ) সকালে শশুরবাড়ি থেকেই নার্গিসের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বৈলারপুর গ্রাম থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় পাঁচ মাস আগে উপজেলার বৈলারপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে নার্গিস আক্তারের সঙ্গে প্রতিবেশী জিন্নত আলীর সৌদি আরব প্রবাসী ছেলে শহীদুল ইসলামের বিবাহ হয়। ছেলে প্রবাসে থাকায় পারিবারিকভাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই তাঁদের বিবাহ হয়।
স্বামী শহীদুল প্রাবাসে থাকলেও মাঝেমধ্যেই নববধূ নার্গিস স্বামীর বাড়িতে বেড়াতে আসতেন। এরই ধারাবাহিকতায় এক সপ্তাহ আগে নার্গিস স্বামীর বাড়িতে আসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে স্বামীর বাড়িতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু শুক্রবার সকালে নিজ কক্ষেই নার্গিসের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাওয়া যায়। দুপুরে সখীপুর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে।
মেয়ের বাবা বাচ্চু মিয়া বলেন, কী ভাবে কী হলো কিছুই বুঝতে পারছিনা।
জানতে চাইলে ছেলের বাবা জিন্নত আলী বলেন, হয়তো ছেলে সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হতে পারে। তবে এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না।
সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল মতিন বলেন, ‘পরিবারিকভাবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কেউ কিছু বলেতে পারছে না। তবে লাশের সঙ্গে ওই তরুণীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছে। এ থেকে তথ্য পাওয়া যেতে পারে।’
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। কাল শনিবার সকালে ময়নাতদন্তে লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। সুরতহালে হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। আপাতত অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যুগধারা ডট টিভি/অন্তু দাস হৃদয়