সরিষাবাড়ীতে কালিমাতা মন্দিরের ৬ প্রতিমা ভাংচুর ও স্বর্ণলংকার চুরি

Spread the love

মোস্তাক আহমেদ মনির, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে কামরাবাদ শ্রী শ্রী শ্মশান কালিমাতা মন্দিরের ৬ টি প্রতিমা ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার রাতে কামরাবাদ কেন্দ্রীয় মহা শ্মাশান কালিমাতা মন্দিরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুর্বৃত্তরা মন্দিরের ৬ টি প্রতিমা ভাংচুর, দানবাক্স ও প্রতিমার স্বর্ণলংকার নিয়ে যায় বলে জানান মন্দির কমিটির কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। 

মন্দির কমিটির সভাপতি উত্তম কুমার তেওয়ারী বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধা পর্যন্ত মন্দিরে আরাধনা চলে। পরে মন্দিরে আরাধনা করতে আসা লোকজন চলে যায়। এরপর শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা মন্দিরে পূজা-অর্চনা করতে এসে মন্দিরের গেট ভাঙ্গা দেখতে পায়। এসময় মন্দিরের ভিতরে গিয়ে দেখা যায় কালি মুর্তি, মহাদেব, ডাকুনি, ঝুকুনি, শীতলা, শেয়াল পন্ডিত ও মহাকাল ভৈরব প্রতিমা গুলোর হাত, পা, মাথাসহ বিভিন্ন অংশ ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া দানবাক্সে থাকা নগদ অর্থ ও প্রতিমার গায়ে থাকা স্বর্ণলংকার নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা৷ 

পরে মন্দির কমিটির লোকজন পুলিশে খবর দিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় শুক্রবার সকাল থেকে ওই মন্দিরে পূজা-অর্চনা বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের শাস্তির দাবী জানান তারা। এসময় মন্দিরের ভাঙচুর হওয়া প্রতিমাগুলোকে পার্শ্ববর্তী ঝিনাই নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা জানার পর আমরা মন্দিরটিতে গিয়েছিলাম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রতিমা ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাঁদ মিয়া বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এ বিষয়ে জামালপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ বলেন, প্রতিমা ভাঙচুরের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।